সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দেশজুড়ে জারি লকডাউন। বন্ধ গণপরিবহণ। মাধ্যমিকের পর ছুটি কাটাতে গিয়ে এই পরিস্থিতিতে ওড়িশায় আটকে দুর্গাপুরের ২ যুবক। মিলছে না হোটেল। নেই খাবার-ওষুধ। ফুরিয়েছে টাকা। চূড়ান্ত অসহায় পরিস্থিতিতে কার্য়ত রাস্তায় থাকতে হচ্ছে তাঁদের। ঘরে ফিরতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ ওই যুবকরা।
জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের পলাশডিহার বাসিন্দা সৌরভ সোরেন ও বেনাচিতির বাসিন্দা অমিত দাস। সম্পর্কে দুই ভাই তাঁরা। সৌরভের কথায়, “মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ওড়িশা ঘুরতে এসেই লকডাউনের শিকার হয়েছি। আমরা যে লজে ছিলাম সেখান থেকে আমাদের জোর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। রাস্তায় দেখলেই পুলিশ মারছে। ট্রাকে করে দুর্গাপুর ফেরার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। টাকা শেষ। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, আপনি আমাদের ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করুন।” জানা গিয়েছে, এক মাস আগে দুর্গাপুর থেকে ওড়িশা য়ায় ২ যুবক। সেখান থেকে পুরী যাওয়ার চেষ্টা করলে লকডাউনের কারণে সেখানে ঢুকতে পারেনি। এরপর গোপালপুর ঘুরে সম্বলপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠেন তাঁরা। কিন্তু করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে আত্মীয় ও তাঁদের প্রতিবেশীরা ওই যুবকদের অন্যত্র থাকার পরামর্শ দেন।
[আরও পড়ুন: প্রতিকূলতা নেই লকডাউনেও, ভবঘুরেদের খাবারের পার্সেল পৌঁছে দিচ্ছে ফুড ব্যাংক]
বাধ্য হয়ে সম্বলপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি লজে ওঠেন তাঁরা। এরপরই দেশব্যাপী লকডাউন শুরু হয়ে যায়। ২১ মার্চ থেকে লজে থাকলেও এরপর পুলিশের ভয়ে কর্তৃপক্ষ তাঁদের বের করে দেয়। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে শুরু করে তাঁরা। টাকা নেই। যা ছিল তা দিয়ে পাউরুটি, কলা খেয়ে ক’টা দিন কেটে। এরপর পুলিশে মারে পায়ে চোট লেগেছে। কিন্তু ওষুধও কিনতে পারছেন না। এই দুঃসহ পরিবেশ থেকে আমাদের উদ্ধার করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও সংবাদ প্রতিদিনের কাছে কাতর আবেদন করছেন তাঁরা। কিন্তু কতদিন ঘরে ফিরতে পারবেন তাঁরা, তা কারও জানা নেই। ছেলের অপেক্ষায় ঘরে বসে চোখের জল ফেলছে পরিবার।
[আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে শামিল বৃহন্নলা পাখি, মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে ১ লক্ষ ১ হাজার টাকা সাহায্য]
The post ছুটি কাটাতে গিয়ে বিপত্তি, লকডাউনে ওড়িশায় ‘বন্দি’ দুর্গাপুরের ২ যুবক appeared first on Sangbad Pratidin.
