অর্ণব দাস, বারাসত: কথায় আছে, উপরওয়ালা যাব ভি দেতা, দেতা ছাপ্পর ফারকে। কথাটা হাতেনাতে সত্য হয়েছে হাবড়ার এক যুবকের ক্ষেত্রে। আচমকাই তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ৩ হাজার কোটি টাকা। যা দেখে সটান আতঙ্কে কাঁটা তিনি। কোথা থেকে অ্যাকাউন্টে ঢুকল টাকা, তা এখনও অজানা তাঁর। তবে পেশায় দিনমজুর যুবকের সাফ ঘোষণা, “এ টাকা আমার চাই না।”
ব্য়াংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে উত্তর ২৪ পরগনায় হাবড়া থানার বাউগাছি নাংলা পাড়ার যুবকের। স্থানীয় যুবক সুদীপ্ত হাজরা দিনমজুরের কাজ করে কোনওরকমে সংসার চালান। এক বেসরকারি ব্য়াংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁর। সেখান থেকে টাকা তুলতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ সুদীপ্তর। সূত্রের খবর, হাবরা থানার দ্বারস্থ হন তিনি। যদিও পুলিশের তরফে একথা স্বীকার করা হয়নি।
[আরও পড়ুন: ‘৮ বছর ধরে কেন বন্ধ জলপ্রকল্পের কাজ?’, সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীদের ‘কানমলা’র দাওয়াই মুখ্যমন্ত্রীর]
উল্লেখ্য, সুদীপ্ত দীর্ঘদিন মহারাষ্ট্রে কর্মরত ছিলেন। পরে মা মারা যাওয়ায় তিনি গ্রামে ফিরে আসেন। পরিবারের আরেক সদস্য মারা যাওয়ায় তাঁর আর মহারাষ্ট্রে ফিরে যাওয়া হয়নি। এখানেই মাঠে ঘাটে দিনমজুরের কাজ করতেন তিনি। ব্য়াংকে জমানো কিছু টাকা তুলতে স্থানীয় সেবাকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট আপডেট করলেই চক্ষু চড়কগাছ। দেখেন অ্যাকাউন্ট ঢুকেছে তিন হাজার কোটি টাকা। ব্যাংক আধিকারিকরাও জানেন না কোথা টাকা এসেছে। টাকা উৎস জানতে আপাতত অ্য়াকাউন্টটি ব্লক করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন সুদীপ্ত। তাঁর কথায়, “আমার টাকা চাই না। কিন্তু অ্যাকাউন্টটা দ্রুত সচল করা হোক। যাতে আমার যা টাকা রয়েছে তা তুলতে পারি। অতিরিক্ত টাকা আমার দরকার নেই।”