দেবব্রত মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবার: ফিরল কেকে মৃত্যুর স্মৃতি। নজরুল মঞ্চের পর এবার ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের খাস কুমড়োখালি। অনুষ্ঠান চলাকালীন মঞ্চে অসুস্থ হয়ে প্রাণ গেল সঞ্চালকের।
নিহত বছর আটচল্লিশের দেবাশিস দাস, কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্টের বাসিন্দা। বরাবর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার কাজ করতেন তিনি। মঙ্গলবার ক্যানিংয়ের খাস কুমড়োখালি গ্রামে কালীপুজো উপলক্ষে অনুষ্ঠানের জন্য ডাক পান। নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠান সঞ্চালনার জন্য পৌঁছেও যান দেবাশিস। নিজের কথার জাদুতে দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছিলেন তিনি। এরপর অনুষ্ঠান শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: সুকান্ত অপসারণ নিশ্চিত! শুভেন্দুর সভাপতি হওয়ার পথে এখন মূল কাঁটা RSS]
সেই সময় অসুস্থ বোধ করতে থাকেন দেবাশিস। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের সেকথা জানান। খানিকটা অচৈতন্যও হয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থবোধ করেন দেবাশিস। আবারও অনুষ্ঠান মঞ্চে ফিরে যান। তবে অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন। মঞ্চে বসে পড়েন। বুকে ব্যথা শুরু হয়। আবারও ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে এবার আর শেষরক্ষা হয়নি। প্রাণ হারান সঞ্চালক। ক্যানিং থানার পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুমামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এই ঘটনা যেন আরও একবার কেকে মৃত্যুর স্মৃতি উসকে দিল। গত ৩১ মে কলকাতার গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের ফেস্টে গান গাইতে শহরে পা রাখেন বলিউডের জনপ্রিয় শিল্পী কেকে (KK)। নজরুল মঞ্চে দাঁড়িয়ে গান গাওয়ার সময় অস্বস্তিবোধ করতে শুরু করেন। অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফেরার পরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। শিল্পীর মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয় একাধিক বিতর্ক। অভিযোগ ওঠে অনুষ্ঠানের অব্যবস্থা নিয়েও।
ক্যানিংয়ের এই অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কেমন ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে নিজের কাজের প্রতি অসীম ভালবাসা এবং খানিকটা পেটের দায়েই যে সঞ্চালক দেবাশিসও জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাজ করে গিয়েছেন, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।