সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: স্ত্রী (Wife) উচ্চাকাঙ্ক্ষী। তার চাহিদা মেটাতে না পারলে হত অশান্তি। আর তার জেরে গলায় সারমেয়র বেল্ট পেঁচিয়ে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী। খুনের পর থানায় আত্মসমর্পণ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের সহকারী ম্যানেজারের। এই ঘটনায় কাঁকসা থানার বামুনারায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কাঁকসা (Kanksa) থানার বামুনারার একটি বহুতলে থাকতেন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের সহকারী ম্যানেজার বিপ্লব পরিয়াদ ও তার স্ত্রী ইপসা প্রিয়দর্শিনী। রবিবার রাতে বাইকে চড়ে কাঁকসা থানায় আসে বিপ্লব। কাঁকসা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে বলে তিনি তার স্ত্রীকে খুন করেছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাকে নিয়ে ওই বহুতলে যায়। দরজা খুলে দেখে ইপসা প্রিয়দর্শিনীর দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। পুলিশ তড়িঘড়ি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
[আরও পড়ুন: কুকুরের সঙ্গে উদ্দাম যৌনতা! বিপাকে তরুণী, হতে পারে জেলও]
বিপ্লব পরিয়াদ জানান, তারা উড়িষ্যার কটকের বাসিন্দা। ২০১৯ সালে কটকেরই বাসিন্দা ইপসার সঙ্গে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় তার। কাঁকসায় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের সহকারী ম্যানেজার বিপ্লব। তাই কর্মসূত্রে বামুনারার বহুতলে ভাড়া থাকে সে। বিয়ের পর থেকে অশান্তি লেগেই থাকত। বিপ্লবের দাবি, আয়ের অধিকাংশই স্ত্রীর চাহিদা মেটাতে খরচ হয়ে যেত। তা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই বিবাদ লেগে থাকত।
রবিবারও অশান্তি হয় দু’জনের। ঝগড়াঝাটি চলাকালীন বিপ্লব তার স্ত্রীর গলায় পোষ্য সারমেয়র বেল্ট পেঁচিয়ে খুন করে। এরপর মোটরবাইক চালিয়ে কাঁকসা থানায় পৌঁছয় সে। পুলিশকে গোটা ঘটনা জানিয়ে আত্মসমর্পণও করে। কাঁকসা থানার পক্ষ থেকে ইপসার বাপেরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ইপসার বাপেরবাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিপ্লবের বয়ান সত্যি কিনা, তা যাচাই করে দেখা হবে। আপাতত কাঁকসা থানার পুলিশ বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। প্রথমে খুন এবং তারপর ঠান্ডা মাথায় মোটরবাইক চালিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ – বিপ্লবের আচরণে আঁতকে উঠছেন প্রতিবেশীরা।