দেব গোস্বামী, বোলপুর: হাসপাতাল থেকেই উধাও হয়ে যান চিকিৎসাধীন রোগী। নিখোঁজের ৫ দিন পর ৫০০ মিটার দূরত্বে হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠ থেকেই রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। এই ঘটনায় বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল। যুবকের মৃত্যুর কারণ নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বোলপুর সংলগ্ন কাকুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা কার্তিক বারুই(৪৭)। ৪ আগস্ট রাত ২টোর সময় অসহ্য পেটের যন্ত্রণা নিয়ে পরিবারের লোকজন তাঁকে বোলপুর মহকুমা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি করেন। সাধারণ বিভাগে ভরতি হওয়ার পরপরই শুরু হয় চিকিৎসা। ৬ আগস্ট বিকেল ৩টের সময়ে হঠাৎ হাসপাতালের বেড থেকে শৌচালয়ে যান। দীর্ঘক্ষণ শৌচালয় থেকে না ফেরায় চিন্তায় পড়েন স্ত্রী রিঙ্কু বারুই। ওয়ার্ডের কর্মী, নার্স, চিকিৎসকদের জানানো হয়। বিস্তর খোঁজাখুঁজির পরেও মেলেনি চিকিৎসাধীন রোগীর সন্ধান।
[আরও পড়ুন: ব্যালটের পর সার্টিফিকেট, এবার বিজেপির নবনির্বাচিত মহিলা প্রধানের শংসাপত্র চিবিয়ে খেল যুবক]
নিখোঁজ থাকার ৫ দিন পর বৃহস্পতিবার মাত্র ৫০০ মিটার দূরত্বে হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠ থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় ওই যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্ত্রী রিঙ্কু বারুই বলেন, “গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করার পর থেকে সঙ্গেই ছিলাম। এক মিনিটের জন্যও কোথাও যাইনি। হঠাৎ স্বামী শৌচালয়ে যাওয়ার পর থেকেই উধাও হয়ে যান। এরপর হাসপাতাল চত্বর, পরিবার-পরিজনের বাড়ি বহু খোঁজাখুঁজি করেও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালেই জানতে পারি স্বামীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কী করে সম্ভব কিছুই বুঝতে পারছি না।”
প্রাথমিক তদন্তে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশের অনুমান, ওই যুবক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। যুবকের মৃত্যুর কারণ নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে সুপার দিবাকর সর্দার বলেন, “ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ভিজিটিং আওয়ার্স বাদে বিভিন্ন দরজায় সবসময় নিরাপত্তা কর্মীরা থাকেন। কেন এমন হল তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।”
