চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে তৃণমূল নেতার রহস্যমৃত্যু। বাড়ির খানিকটা দূর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর নিথর দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে ওই তৃণমূল নেতাকে। তবে কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম শেখ আহমেদ (৩৬)। একটা সময়ে সিপিএমের সঙ্গে কর্মী ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে যোগ দেন তৃণমূলে। লক্ষ্যা ২ নম্বরের তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রীও পঞ্চায়েতের সদস্যা ছিলেন। মৃতের স্ত্রী মানোয়ারা বিবি জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৪ টে নাগাদ বাড়ি থেকে নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বেরিয়েছিল আহমেদ। মহিষাদলের একটি দোকানে রাখা সোনার গহনা ছাড়ানোর উদ্দেশ্যে এই টাকা নিয়ে যান তিনি। এরপর রাতে জানিয়েছিল দোকান থেকে গহনাগুলি বুধবার দেওয়া হবে। রাত সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত যোগাযোগ হলেও তারপর থেকে আহমেদের ফোন সুইচ অফ।
[আরও পড়ুন: বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলা পুলিশ কর্মীর রহস্যমৃত্যু, নেপথ্যে লিভ ইন পার্টনার?]
পরে বুধবার সকালে সকালে চাঁপি মধ্যপল্লি এলাকায় পুরানো রেশন দোকানের কাছে ওই যুবকের মোটরবাইকটি রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খানিকটা দূরে একটি বাড়ির পেছন থেকে উদ্ধার হয় তৃণমূল নেতার দেহ। মৃত যুবকের মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরচ্ছিল বলে খবর। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকার মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় জমান। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করতে গেলে তদন্তের দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দা বিজয়কুমার মণ্ডল জানান, “যে বাড়ির পিছনে মৃত দেহটি উদ্ধার হয়েছে সেখানে আমার বৃদ্ধ বাবা ও মা থাকেন। আজ সকালে মা ও বাবা বাড়ির পিছনে গিয়ে ওই যুবককে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে আমরা ছুটে আসি”। তবে কি টাকা হাতাতেই খুন? নাকি নেপথ্যে রাজনীতি? জানার চেষ্টায় পুলিশ।
