রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: দূরপাল্লার ট্রেনের আসন নিয়ে বচসার জের, চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই এক বিএসএফ জওয়ানকে মারধর করার অভিযোগ ট্রেনের প্যান্ট্রিকারের কর্মীদের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনাটি ঘটেছে ট্রেনের কর্তব্যরত টিটিইর সামনেই! কন্যাকুমারী-ডিব্রুগর বিবেক এক্সপ্রেসের ঘটনা। ট্রেন বিজয়ওয়াড়া স্টেশন পেরোনোর পরে প্যান্ট্রিকার কর্মী ও জওয়ানের মধ্যে ঝামেলা বাধে। প্রশ্ন উঠছে, একজন জওয়ানের সঙ্গে যদি এমন হয়, তা হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?
হাতাহাতিতে আহত বিএসএফ জওয়ানের নাম বীরেশচন্দ্র বর্মন। তাঁর বাড়ি কোচবিহারের তুফানগঞ্জের ছাদভলকা গ্রামে। তামিলনাড়ুতে ওই জওয়ান কর্মসূত্রে থাকেন। বিবেক এক্সপ্রেসে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। রবিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ট্রেনটি বিজয়ওয়াড়া স্টেশন পেরোলে ঝামেলা বাধে প্যান্ট্রিকার কর্মীদের সঙ্গে। বিএসএফ জওয়ানকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মারের চোটে তাঁর নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পর্যন্ত বেরিয়ে গিয়েছিল। ওই হামলার ভিডিও তোলেন (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল) ট্রেনের অপর এক যাত্রী। সেই ভিডিওই পরিবারকে পাঠান জওয়ান। মঙ্গলবার সকালে ট্রেনটি নিউ আলিপুরদুয়ার পৌঁছায়। তারপরেই গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরে ওই বিএসএফ জওয়ান তুফানগঞ্জের বাড়িতে ফেরার জন্য তামিলনাড়ুর তিরুপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন। এসি থ্রি টায়ারে নিউ আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত টিকিট কাটা ছিল তাঁর। জওয়ান বীরেশচন্দ্র বর্মন বলেন, “আমার এসি থ্রি টায়ারে টিকিট কাটা ছিল। কিন্তু টিকিট অন্য কাউকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। আমাকে সেখানে বসতে দেওয়া হচ্ছিল না। এই বিষয়ে প্রশ্ন তুললে প্যান্ট্রিকারের লোকজন আমাকে মারধর করতে শুরু করে।"
যদিও রেল দপ্তর জানিয়েছে, ওই যাত্রীর এসি থ্রি টায়ারের ওয়েটিং লিস্টে টিকিট ছিল। সেই টিকিটে স্লিপার ক্লাসে সফর করা যায় না। তথাপি ট্রেনের ভিতরে কোনও যাত্রীকে মারধর করা যায় না। এই বিষয়ে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম অমরজিৎ গৌতম বলেন, "অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।" রেলের যাত্রী অভিযোগের ১৩৯ নম্বরে ফোন করেও কোনও সুরাহা হয়নি, অভিযোগ জওয়ানের আত্মীয়দের।