shono
Advertisement
Hooghly

বারবার টার্গেট ATM! কলকাতা-হাওড়ার পর হুগলিতে ইট দিয়ে মেশিন ভাঙল দুষ্কৃতীরা

চন্দননগর পুলিশের ডিসিপি অলকানন্দা ভাওয়াল ঘটনাস্থলে তদন্তে যান।
Published By: Suhrid DasPosted: 08:13 PM Feb 17, 2025Updated: 08:13 PM Feb 17, 2025

সুমন করাতি, হুগলি: এবার হুগলির চাঁপদানিতে এটিএম লুটের চেষ্টা। ইট দিয়ে ভাঙা হয়েছে মেশিনের সামনের অংশ। তবে টাকা লুট সম্ভব হয়নি। এটিএম ভাঙার আওয়াজে এলাকার লোকজন সজাগ হয়ে গিয়েছিলেন। ফলে এলাকা ছেড়ে পালান দুষ্কৃতী। তবে ঘটনাকে মোটেও ছোট করে দেখছে না পুলিশ। কারণ, শনিবার ভোরবেলায় হাওড়ায় এটিএম ভেঙে, জ্বালিয়ে ১৬ লক্ষ টাকা চুরি হয়েছিল। তার আগে কলকাতার যাদবপুরে এটিএমে জালিয়াতি হয়। 

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির চাঁপদানি জিটি রোডের পাশে ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার এটিএম কিয়স্ক রয়েছে। সেখানে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না। গতকাল গভীর রাতে সেই কিয়স্কে এক বা একাধিক দুষ্কৃতী হানা দেন। ইট দিয়ে ওই এটিএমের সামনের অংশ ভেঙে ফেলা হয়। ওই কিয়স্কের পাশেই থাকেন পশুপতি মাহাতো নামে এক ব্যক্তি। শব্দে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। তিনি চিৎকার করে ওঠেন।

সেই আওয়াজেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যান বলে খবর। এটিএম ভেঙে কোনও টাকা লুট করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার খবর পেয়ে চন্দননগর পুলিশের ডিসিপি অলকানন্দা ভাওয়াল, এসিপি সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়, ভদ্রেশ্বর থানার আইসি সোমবার ঘটনাস্থলে যান। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলেন। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে একজনের কাজ বলেই পুলিশের অনুমান। তবে কোনও ঢিল দিতে রাজি নন আধিকারিকরা।

শনিবার ভোরে হাওড়ার আলমপুর এলাকায় স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার এটিএম কাউন্টারে হানা দেন কয়েকজন দুষ্কৃতী। ১৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে তাঁরা চম্পট দেন। মেশিন ভাঙতে গ্যাস কাটার ব্যবহার হয়েছিল। জাতীয় সড়ক ধরে তাঁরা পালিয়েছেন বলে খবর। বাইরের দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছেন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। রবিবার রাতে চাঁপদানির ঘটনার সঙ্গে হাওড়ার কোনও যোগসূত্র আছে কি? সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • এবার হুগলির চাঁপদানিতে এটিএম লুটের চেষ্টা।
  • ইট দিয়ে ভাঙা হয়েছে মেশিনের সামনের অংশ। তবে টাকা লুট সম্ভব হয়নি।
  • এটিএম ভাঙার আওয়াজে এলাকার লোকজন সজাগ হয়ে গিয়েছিলেন।
Advertisement