রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: হুগলি নদীতে ডুবল বাংলাদেশি ছোট জাহাজ। উদ্ধার করা গিয়েছে জাহাজের ১১ নাবিককে। মঙ্গলবার সকালে এমবি সোম নামে ওই পণ্যবাহী জাহাজটি ছাই নিয়ে যাচ্ছিল। আচমকাই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল থানার হরিবল্লভপুরের কাছে নদীতে ডুবে যায় জাহাজটি। মঙ্গলবার ভোরে এই ঘটনায় মহিষাদল থানা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ডুবন্ত জাহাজটিকে দেখতে নদীর পাড়ের ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা।
[কাটা হাত নিয়ে রাতভর রাস্তায় ঘুরলেন শ্রমিক, অবশেষে ভরতি নার্সিংহোমে]
জানা গিয়েছে, জাহাজটি নদীর চরে আটকে ডুবতে থাকে। নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ঘটনাটি নজরে আসে মৎস্যজীবীদের। প্রাথমিকভাবে উদ্ধার কাজ শুরু করেন তাঁরাই খবর দেওয়া হয় মহিষাদল থানায়। পুলিশ এসে জাহাজ থেকে ১০ জন নাবিককে উদ্ধার করে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত জাহাজের নাবিকরা জানান, বজবজ থেকে ছাই নিয়ে নামখানা যাওয়ার পথে হুইলের চেন কেটে যাওয়ায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। কাছেই থাকা একটি বয়াতে ধাক্কা লাগায় জাহাজে জল ঢুকতে শুরু করে। জাহাজটি পাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন নাবিকরা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। জাহাজটি ধীরে ধীরে ডুবতে শুরু করে। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস বলেন, “সকালে খবর পাওয়া মাত্রই মেরিন পুলিশ ঘটনাস্থলে চলে যায়। ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে নাবিকদের উদ্ধার করতে মৎস্যজীবীরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।” মাস কয়েক আগেই হলদিয়া বন্দরের কাছে মাঝ সমুদ্রে পণ্যবাহী জাহাজের বিস্ফোরণ ঘটেছিল। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল ৪৬০টি কন্টেনার। তবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত জাহাজ থেকে ২২ জন ক্রিউ মেম্বার থেকে উদ্ধার করা গিয়েছিল।
[ রোগ লুকিয়ে একাধিক পুরুষের সঙ্গে সঙ্গম মহিলার! এইডস আতঙ্ক বাঁকুড়ায়
