স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যে নতুন করে ২২ হাজার শূন্যপদে স্কুল শিক্ষক নিয়োগের পথে বাধা দূর হল। সংরক্ষণের নিয়ম মেনে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তৈরি করা শূন্যপদের রোস্টারে অনুমোদন দিল রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তর। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ স্তরে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক মিলিয়ে প্রায় ২২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর পথে কোনও বাধা রইল না। শিক্ষামন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশন নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর আগে নিয়োগের বিধিতে কিছু সংশোধন করা হবে। নিয়োগের বিধির সেই সংশোধন হয়ে গেলেই ২২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিতে পারবে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)।
স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, স্কুলে নবম-দশম স্তরে শূন্যপদের সংখ্যা ১৩ হাজার ৮৪২। একাদশ-দ্বাদশ স্তরে ৫ হাজার ৫২৭ এবং প্রধান শিক্ষক পদে শূন্যপদের সংখ্যা ২ হাজার ৩২৫। সবমিলিয়ে মোট ২১ হাজার ৬৯৪টি শূন্যপদের তালিকা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে পাঠিয়েছিল স্কুল শিক্ষা দপ্তর। সেই শূন্যপদগুলির মধ্যে সংরক্ষণের নিয়ম মেনে কোন কোন ক্যাটেগরিতে কত সংখ্যক শূন্যপদ থাকবে, তার তালিকা তৈরি করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তফসিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি-এ, ওবিসি-বি এই ক্যাটেগরিগুলিতে কতগুলি করে শূন্যপদ থাকবে, সেই তালিকার পোশাকি নাম শূন্যপদের রোস্টার। সেই রোস্টার গত ২১ সেপ্টেম্বর অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মাত্র ২০ দিনের মাথায় অর্থাৎ গত ১১ অক্টোবর সেই রোস্টারে অনুমোদন দিল অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তর। ফলে, প্রায় ২২ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া (Recruitment process) শুরু করায় আর কোনও বাধা রইল না।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টে বড় ধাক্কা, গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আর ধরনা দিতে পারবে না ২০১৪’র টেট উত্তীর্ণরা]
চলতি বছর ১ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ঘোষণা করেছিলেন, ২১ হাজার শূন্যপদে শীঘ্রই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হবে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমরা খুব দ্রুত নতুন নিয়োগের দিকে যাচ্ছি। লিঙ্গ, জাতি, পদ-প্রত্যেকটি ক্যাটেগরি নির্ভুল রেখে শূন্যপদের রোস্টার তৈরির কাজটা করতে আমাদের মাসখানেক সময় লাগবে।’’ সংরক্ষণের নিয়ম মেনে শূন্যপদের রোস্টার তৈরি সংক্রান্ত কিছু জটিলতা ছিল। তা কাটাতে দফায় দফায় স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। অবশেষে সেই জটিলতা কাটল।
[আরও পড়ুন: ন’বছরে অনুব্রতর শিক্ষিকা কন্যার আয় বেড়েছে প্রায় ৩০ গুণ! কীভাবে? তদন্তে CBI]
শিক্ষামন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের আগে নিয়োগের বিধিতে বড়সড় রদবদল আনা হবে। স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, সংশোধন করে নিয়োগের বিধি প্রায় প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। সেই বিধি বিজ্ঞপ্তি আকারে স্কুল শিক্ষা দপ্তর জারি করবে। আর তারপরই স্কুল সার্ভিস কমিশন এই ২২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। শুরু হয়ে যাবে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া।