নিজস্ব সংবাদদাতা, তেহট্ট: সংসারে প্রবল অভাব। ধার দেনা করে কেরলে কাজে গিয়ে সবে সুখের মুখ দেখেছিল মিরাজুলের ছোট্ট পরিবার। আচমকা মিরাজুল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ায় করিমপুর পাটাবুকা পূর্বপাড়ার গোটা এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। বুধবার করিমপুর পাটাবুকা পূর্বপাড়ায় বাড়িতে মিরাজুল মণ্ডলের (৩৩) কফিনবন্দি দেহ আসে। কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের স্ত্রী সাবিনা মণ্ডল-সহ আত্মীয় স্বজনরা। কেরলে কাজ করতেন মিরাজুল। কয়েক মাস আগে রমজানের সময় বাড়িতে আসেন। দিন পনেরো বাড়িতে কাটানোর পর ফের কাজে যান। মিরাজুলের স্ত্রী সাবিনা এক বছর চার মাসের শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘ও সকালে কাজে যাওয়ার আগে আমার সঙ্গে কথা বলত। বলত আমি কষ্টে মানুষ হয়েছি। আমার ছেলেকে কষ্ট করতে দেব না।’
[নাবালিকা পরিচারিকাকে মারধর, আটক জয়েন্ট বিডিও-র স্ত্রী]
সোমবার বেলার দিকে মিরাজুলের মৃত্যুর খবর বাড়িতে ফোন মারফত চলে আসে। সাবিনা বলেন, ‘এই ছোট বাচ্চাকে নিয়ে ওর কত স্বপ্ন ছিল।’ পাঁচ বছর আগে মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলের সাবিনার সঙ্গে মিরাজুলের বিয়ে হয়। বাবা মা হারানো মিরাজুল রাজমিস্ত্রির কাজ করে দিন গুজরান করতেন। মিরাজুল যখন ছোট তখনই বাড়িতে পড়ে থাকা বিদ্যুৎবাহী তারে স্পৃষ্ট হয়ে তার মা মারা যান। আবার কেরলে কাজে গিয়ে সোমবার সকালে ওই হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎবাহী তারে পা জড়িয়ে উপর থেকে নিচে পড়ে মারা যান মিরাজুল। সে প্রায় ত্রিশ ফুট উপরে দেওয়ালের কাজ করছিলেন। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাথরের উপরে পড়ার পর নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিন মিরাজুলের কফিনবন্দি দেহ বাড়িতে আসার সঙ্গে গোটা গ্রামের মানুষ ভিড় করেন।
The post ভিনরাজ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত করিমপুরের যুবক, এলাকায় শোকের ছায়া appeared first on Sangbad Pratidin.
