সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক রসায়ন অলিম্পিয়াড। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই প্রতিযোগিতায় নিজেদের দল পাঠায়। সেই দলে দেশের রসায়ন বিভাগের সেরা চার ছাত্র থাকে। বিদ্যালয় স্তরের এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের দরবারে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামে তারা। চার পড়ুয়ার সঙ্গে ২জন মেন্টর ও ২ বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়।
দেশের রসায়নের সেরার সেরা অধ্যাপকদের মেন্টর ও বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই তালিকায় নাম তুললেন রাজ্যের রানি রাসমণি বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার অধ্যাপক অমৃতকৃষ্ণ মিত্র। ভারতীয় দলের সঙ্গে বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষক হিসাবে দলের সঙ্গে যাচ্ছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ৮ হাজার টাকা না দেওয়ায় বৃদ্ধকে অর্ধনগ্ন করে মারধরের চেষ্টা, গণপিটুনির হাত থেকে বাঁচাল পুলিশ]
চলতি বছর আর্ন্তজাতিক রসায়ন অলিম্পিয়াড (International Chemistry Olympiad) অনুষ্ঠিত হবে আবু ধাবির (Abu Dhabi) রিয়াদে। ২১ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই এই প্রতিযোগিতা হবে। প্রতিযোগিতায় সম্ভবত প্রথম বাঙালি হিসাবে বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষক হচ্ছেন অধ্যাপক অমৃতকৃষ্ণ। তিনি সিঙ্গুরের সরকারি জেনারেল ডিগ্রি কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঙ্গে রানি রাসমণি বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার।
সম্প্রতি, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সেই চিঠি পেয়েছেন অমৃতবাবু। এখন দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এই প্রসঙ্গে অমৃতবাবু বলেন, "আন্তর্জাতিক রসায়ন অলিম্পিয়াডে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের জন্য বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষক হিসাবে আমাকে বাছা হয়েছে। এই ইভেন্টটি আমার জন্য বিশেষ সুযোগ। সঙ্গে আমাদের রাজ্যের জন্য একটি গর্বের বিষয়। এই প্রতিযোগিতায় নতুন দায়িত্ব নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এনওসি পেয়েছি।"
আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতায় ছাত্রদের চার থেকে পাঁচটি প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সঙ্গে সমসংখ্যক লিখিত পরীক্ষায় বসে ছাত্র-ছাত্রীরা। বিভিন্ন দিনে এই পরীক্ষাগুলি হয়। অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ছাত্রদের ব্যক্তিগত স্কোরের ভিত্তিতে পুরস্কৃত করা হয়। স্কোর অনুযায়ী সোনা, রুপো, বোঞ্জ পায়। প্রতিযোগিতায় সেরা স্কোর করা ছাত্রকে একটি বিশেষ পুরস্কারও দেওয়া হয়।