অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: পৃথক উত্তরবঙ্গ এমনকী পৃথক জঙ্গলমহলের দাবি অযৌক্তিক নয়, সুর বদল করে এমনই দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার (John Barla) পাশে দাঁড়িয়ে শনিবার একথা বলেন তিনি।
দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) অভিযোগ, “দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে উত্তরবঙ্গের কোনও উন্নতি হয়নি। চিকিৎসা, শিক্ষা, চাকরি, স্বাস্থ্যের জন্য অন্যত্র যেতে হয় উত্তরবঙ্গবাসীকে। কেন হাসপাতাল, ভাল স্কুল নেই সেখানে? জঙ্গলমহলের অবস্থাও এক। শালপাতা, কেন্দুপাতা নিয়ে মা-বোনেরা সেখানে জীবিকা নির্বাহ করেন। কেন তাঁদের চাকরির জন্য রাঁচি, ওড়িশা, গুজরাটে যেতে হচ্ছে? দেশের স্বাধীনতা, উন্নয়নের লাভ পাওয়ার অধিকার নেই তাঁদের?” উল্লেখ্য, এর আগে জন বার্লা যখন পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি জানিয়েছিলেন তখন দিলীপ ঘোষ চড়া গলায় যেমন তার বিরোধিতা করেননি, তেমনই আবার সমর্থনও করেননি এভাবে। স্বাভাবিকভাবে তাই তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা।
[আরও পড়ুন: ফের চোরাশিকারিদের নজরে জলদাপাড়া? জাতীয় উদ্যানে গন্ডারের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য]
শনিবার সকালে উত্তরবঙ্গে পা রেখে তৃণমূলকে তোপ দাগেন তিনি। পুরুলিয়ায় তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্দুক হাতে ভাইরাল ভিডিওর প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে তালিবানের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। তাঁর কটাক্ষ, “একটা গণতান্ত্রিক দেশে কোনও পার্টি কর্মসূচি করতে পারবে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিদর্শ করতে পারবেন না। এটা হতে পারে না। কাল দেখেছেন একজন সভাধিপতি বন্দুক উঁচিকে সকলকে চমকাচ্ছেন। নব্য তালিবানি শাসন চলছে। যে দলের নেতা সেই দলের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিন্তু নেওয়া হচ্ছে না। কারণ, এরাই দলকে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছে।”
তবে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল (TMC)। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি পাপিয়া ঘোষ বলেন, “দিলীপ ঘোষের কোনও কাজ নেই। তাই ভোটের আগেও এমন নানা কথা বলেছেন। মানসিকভাবে অসুস্থ। অবসাদগ্রস্ত মানুষ। দিলীপ ঘোষের কথা শুনে বিভ্রান্ত হলে চলবে না। যারা ভোটের আগে মানুষকে ধর্মের নামে ভয় দেখিয়েছিল তারাই তালিবান। আমরা নয়। মানুষ তার জবাব ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে।”