সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মালদহের গনি পরিবারের দুই কংগ্রেস সাংসদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হতেই এবার তাঁদের দলে টানতে ঝাঁপাল বিজেপি। রাখঢাক না করে কার্যত প্রকাশ্যেই দুই সাংসদকে দলে আহ্বান করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দুই কংগ্রেস সাংসদের জন্য দলের দরজা খোলা, জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
[বাড়াতে হবে ভাড়া, দাবিতে এবার ধর্মঘটের ডাক লাক্সারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের]
বৃহস্পতিবার মালদহ কলেজ অডিটোরিয়ামে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী বিজেপির প্রার্থীদের দলের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে মালদহের দুই কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি ও মৌসম নূরের দলত্যাগের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমি শুনেছি, এই জেলার দুই সাংসদই না কি তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। সত্যিই তাঁরা এখন খুব দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তাঁদের কোনও না কোনও ছাতার তলায় আসা দরকার। আমি বলব, বিজেপির দরজা অনেক বড়। আমরা সবার জন্য সেই দরজা খুলে রেখেছি। তাঁরা এলেও স্বাগত জানাব আমরা।‘ বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যের পর মালদার দুই সাংসদকে নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে গিয়েছে।
[উন্নয়নের কাজ যেন থমকে না থাকে, হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর]
দীর্ঘদিন ধরে গড় হিসেবে পরিচিত মালদহ জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে জমি হারিয়েছে কংগ্রেস। এমনকি গনিখান চৌধুরীর নিজের গ্রামেও পরাস্ত হয়েছে হাত চিহ্নের প্রার্থীরা। এরপরই গনি পরিবারের দুই সদস্যের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের উপর ক্ষুব্ধ তাঁরা। প্রয়োজনে ক্রমশ প্রাসঙ্গিকতা হারাতে থাকা কংগ্রেসের পতাকা ছেড়ে হাতে নিতে পারেন অন্য দলের পতাকাও। এরপরই আসরে নামে তৃণমূল। তৃণমূলের মালদহ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ‘জেলার দুই শীর্ষ জনপ্রতিনিধির সঙ্গে নাকি কথা হয়েছে তাঁর। তারা দলে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।‘ শুরু হয় মৌসম নূর এবং আবু হাসেম খান চৌধুরীর তৃণমূলে যোগদান-জল্পনা। এরই মধ্যে আসরে নেমে পড়লেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনিও দুই সাংসদকে বার্তা দিলেন, চাইলে বিজেপিতেও যোগ দিতে পারেন তারা। তবে, সংখ্যালঘু অধ্যূষিত মালদহের দুই সাংসদের বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা কতটা তা নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক মহল।
