সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গভীর রাত, সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন। এই সুযোগে স্কুলে দুষ্কৃতীদের হানা। কম্পিউটার-সহ গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী হাতানোর চেষ্টা। তবে শেষ মুহূর্তে হিসেবে গোলমাল। এক বৃদ্ধ নৈশপ্রহরী রুখে দিলেন দুষ্কর্ম। তাঁর তৎপরতায় পিছু হটল দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মার খেয়েও ইউনুস শেখ হাল ছাড়েননি। বৃদ্ধের উপস্থিত বুদ্ধিতে বড় চুরির হাত থেকে রক্ষা পেল জয়নগর বহড়ু উচ্চ বিদ্যালয়। তাঁর এই সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।
[সুড়ঙ্গে কলসিবন্দি মোহর? চাঞ্চল্য জমিদার বাড়িতে]
পুলিশ সূত্রে খবর, ভোর চারটে নাগাদ দুষ্কৃতীরা বহড়ু হাইস্কুলে ঢোকে। স্কুলের দোতলায় কম্পিউটার রুমে তালা ভাঙার আওয়াজ পান নাইটগার্ড ইউনুস শেখ। তিনি গিয়ে দেখেন দরজা খোলা। সমস্ত কম্পিউটার টেবিল থেকে নামিয়ে বড় বড় ব্যাগে ঢোকানো হয়েছে। বিপদ আঁচ করে কম্পিউটার ও অন্যান্য সামগ্রী আগলে রাখেন ষাটোর্ধ্ব ইউনুস। অতর্কিতে তাঁর ওপর চড়াও হয়ে জনা কয়েক দুষ্কৃতী। ইউনুস জানান, রড, লাঠি দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। হাত ভেঙে যায়।ওই অবস্থায় জীবন বাজি রেখে দুষ্কৃতীদের আটকে ধরেন ইউনুস। তাঁর এই নাছোড় মনোভাব দেখে দুষ্কৃতীরা আর পেরে উঠতে পারেনি। হইচইয়ের শব্দ শুনে এলাকার বাসিন্দারা যখন স্কুল চত্বরে যান ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে। ইউনুসকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
[নোবেল উদ্ধারে ‘ব্যর্থ’ সিবিআই, সিআইডি তদন্তের আর্জি জানিয়ে দায়ের জনস্বার্থ মামলা]
দীর্ঘ দিন ধরে ওই স্কুলে নৈশপ্রহরীর কাজ করছেন ইউনুস। তাঁর কর্মজীবনে এমন ঘটনা এই প্রথম। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ইউনুস রুখে না দাঁড়ালে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী এবং কম্পিউটার খোওয়া যেত। অশক্ত শরীরে বৃদ্ধের লড়াইয়ে গর্বিত এলাকার বাসিন্দারা। স্কুলের শিক্ষক এবং পড়ুয়াদের মুখে মুখে ফিরছে ইউনিসের এই কাহিনি। এত কিছুর পরও নির্লিপ্ত এই বৃদ্ধ। বলছেন ছোটদের জন্য এটা তাঁকে করতেই হত।
