সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: আশঙ্কা ছিলই। অচেনা মানুষের আনাগোনা ও অত্যাচারের গুজবে অশান্তি ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে। গণপিটুনি রুখতে গিয়ে আক্রান্ত তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ার ও এক ভিলেজ পুলিশ। গ্রেপ্তার ৫। উদ্বিগ্ন প্রশাসন।

[জোড়া দুর্ঘটনায় রাজ্যের দু’প্রান্তে প্রাণহানি দু’জনের, আহত ৩ খুদে]
সন্ধে নামলেই অচেনা লোকজনের আনাগোনা বাড়ছে। সাধারণ মানুষের উপর নাকি রীতিমতো অত্যাচারও চালাচ্ছে তারা। সম্প্রতি এমনই গুজবে আতঙ্কের পরিবেশ ডায়মন্ড হারবার, ফলতা, নোদাখালি, রামনগর-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায়। শুক্রবার ডায়মন্ড হারবার মহকুমার ফলতার হরিণডাঙায় রাত পাহারা দিচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গভীর রাতে এক ব্যক্তিকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন তাঁরা। অভিযোগ, স্রেফ সন্দেহের বশে তাঁকে ধরে মারধর করতে শুরু করেন এলাকার মানুষজন। ঘটনাচক্রে তখন ওই এলাকায়ই টহল দিচ্ছিলেন তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ার ও একজন ভিলেজ পুলিশ। নিরীহ মানুষটিকে গণপিটুনির হাত থেকে বাঁচাতে ছুটে আসেন তাঁরা। আর তাতেই পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। অভিযোগ, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ছেড়ে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ও ভিলেজ পুলিশদের বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন ফলতার হরিণডাঙায় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফলতা থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয় আক্রান্তদের। ঘটনায় পাঁচজন স্থানীয় বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে ডায়মন্ড হারবার শহরেও। শুক্রবার রাতে শহরের রামরামপুর এলাকা পিকনিক চলছিল। হঠাৎ এক অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখে তাঁকে ঘিরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশ জানিয়েছে, ভয়ে পেয়ে গিয়ে কিছুটা অসংলগ্ন কথা বলে ফেলেন ওই ব্যক্তি। এরপরই শুরু হয়ে যায় গণপিটুনি। সময়মতো পুলিশে পৌঁছে যাওয়ার প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন আক্রান্ত ব্যক্তি। তবে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। এদিকে ডায়মন্ড হারবারে স্রেফ গুজবের কারণে গণপিটুনির ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। মানুষকে সচেতন করতে রীতিমতো মাইক বাজিয়ে চলছে প্রচার। স্থানীয় বাসিন্দাদের এলাকার কোনও অচেনা মানুষকে দেখলে থানায় খবর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এমনকী, এই ঘটনার পিছনে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[ লজ্জার শিরোপা, নাবালিকা বিবাহে দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলা]
The post ডায়মন্ড হারবারে গণপিটুনি রুখতে গিয়ে আক্রান্ত সিভিক ভলান্টিয়ার appeared first on Sangbad Pratidin.