শংকরকুমার রায়, চোপড়া: ৮ বিঘার জমির দখলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র চোপড়া। আক্রান্ত মহিলা ও শিশুরা। জমির কাছে রাখা খড়ের গাদায় আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি আয়ত্তে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। তবে এখনও থমথমে এলাকা। মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার চেতনাগাছ এলাকার এই ৮ বিঘার জমির মালিকানা নিয়ে এই অশান্তি দীর্ঘদিনের। এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ হাকিমুদ্দিনের দাবি, ওই জমি তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি। এদিকে অন্য একদল জমি দখল করতে দীর্ঘদিন ধরে যুবকের উপর চাপ সৃষ্টি করছিল বলে অভিযোগ। সোমবার রাতেও একদল হাকিমুদ্দিনকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। একদল দুষ্কতী ওই গ্রামে হানা দেয়। তাঁরা জমিতে ট্রাক্টর চালাতে শুরু করে। সেই সময় হাকিমুদ্দিন বাড়িতে ছিলেন না। প্রতিবাদ করেন পরিবারের মহিলা সদস্যরা। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।
অভিযোগ, বেধড়ক মারধর করা হয় পরিবারের মহিলা ও শিশুদের। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় খড়ের গাদায়। সবমিলিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। আহতদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং চোপড়ার স্থানীয় লোধন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শোনা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ও আক্রান্ত উভয়েই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। ফলে ঘটনার নেপথ্যে নেহাত জমি বিবাদ নাকি রয়েছে রাজনৈতিক কারণও, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
