রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: কাঁথি সমবায় নির্বাচন ঘিরে অশান্তি চরমে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার আসরে নামলেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির মাধ্যমে ফোনে রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি এবং পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিককে সতর্ক করলেন। সূত্রের খবর, দ্বন্দ্ব ভুলে দলের নির্দেশ মতো কাজ করার কথা বলেন তিনি।
আগামী ৩১ জানুয়ারি, কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কে মোট ১৫ জন ডিরেক্টর নির্বাচন হবে। তার আগে গত মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা ছিল। ১৫টি আসনের জন্য মোট ২৬টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। তার মধ্যে ৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পথে। বাকি ১১টি আসন নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। এই দ্বন্দ্বের মাঝে বিধায়ক উত্তম বারিক সম্প্রতি অখিল গিরিকে দেখে 'চোর', 'চোর' স্লোগান দেন বলে অভিযোগ। পালটা আক্রমণ করতে ছাড়েননি অখিল গিরিও। তিনিও পালটা 'বোমা মেরে ৫ মিনিটে খতম করা'র হুমকিও দেন বলেই দাবি। তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি আসরে নামেন। বুধবার তাঁর দক্ষিণ কলকাতার প্রিয়নাথ মল্লিক রোডের অফিসে বৈঠকের ডাক দেন। ডেকে পাঠান পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা নেতৃত্বকে। দলের রাজ্য সভাপতির কথামতো এদিনের বৈঠকে যোগ দেন সকলেই। সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজ্য সভাপতির ফোনে ফোন করেন দলনেত্রী। তাঁর মাধ্যমে তিনি অখিল গিরি ও উত্তম বারিককে কড়া বার্তা দেন। কেন দুজনের বিবাদকে কেন্দ্র করে গোটা দল চরম অস্বস্তিতে পড়বে, সে প্রশ্নও নাকি করেন মমতা। অবিলম্বে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দলের নির্দেশ মতো কাজ করার কথা বলেন। সমবায় নির্বাচনে গোঁজ প্রার্থী দাঁড় করানো যাবে না বলেও সাফ জানানো হয়। দলীয় নির্দেশিকা না মানলে দুজনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও যে নেওয়া হতে পারে, তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, দলনেত্রীর ফোন পেয়ে কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে যান দুজনে। কোনও কথা বলেননি দুই বিধায়ক।