দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মেঝেতে খেলায় মত্ত ভাই-বোন। সিলিংয়ে ঝুলছে বাবা-মায়ের নিথর দেহ। শুক্রবার রাতে এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল সোনারপুরের বৈষ্ণবপাড়া এলাকা। চার বছরের ছেলে ও দু’বছরের মেয়ের সামনেই একসঙ্গে আত্মহত্যা করলেন দম্পতি। মৃতদের নাম তাপস নাইয়া ও প্রিয়াঙ্কা নাইয়া।
[দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন যুব তৃণমূল নেতা, চাঞ্চল্য নদিয়ার চাকুন্দিতে]
২০১৩-তে প্রেম করে বিয়ে করেন তাপস ও প্রিয়াঙ্কা৷ তাঁদের একটি ছেলে ও মেয়ে হয়। প্রতিবেশীরা জানান, তাঁদের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতেও দু’জনের মধ্যে তীব্র বচসা হয়। পরে তাঁদের ঝগড়া থেমে গেলে প্রতিবেশীরা ভাবেন দু’জনের মধ্যে সবকিছু মিটে গিয়েছে। স্থানীয়দের অনুমান, ঝগড়ার পরে আত্মহত্যা করে ওই দম্পতি। প্রতিবেশীরাই তাপস-প্রিয়াঙ্কাকে উদ্ধার করে সোনারপুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করে। আপাতত প্রতিবেশীদের কাছেই রয়েছেন দুটি শিশু। এই ঘটনা গভীর প্রভাব ফেলেছে দুই শিশুর মনে। প্রতিবেশীদের কোলেই বারবার চমকে উঠছে তারা। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ৷ তাঁদেরর প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক অশান্তি ও আর্থিক অনটনের জন্য আত্মঘাতী হয়েছেন দম্পতি৷
[যৌনশিক্ষার পাঠ এবার শিক্ষকদেরও, তৈরি হয়েছে প্রশিক্ষণের বই]
ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “হঠাৎ করে ওদের ছেলের চিৎকার শুনে আমি সেখানে ছুটে যাই। ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। তাই পিছনের জানলা দিয়ে দেখার চেষ্টা করি এবং ঘরের ভিতরে তাকাতেই আমি দেখি, সিলিং থেকে ঝুলছে তাপস ও প্রিয়াঙ্কা। ওরা দু’জনে পরস্পরের দিকে মুখ করে ঝুলছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমি সেখানে অন্যদের ডেকে আনি এবং দরজা ভেঙে বাচ্চা দুটিকে উদ্ধার করি।”
The post মেঝেয় খেলছে সন্তানরা, সিলিংয়ে ঝুলে আত্মঘাতী দম্পতি appeared first on Sangbad Pratidin.
