সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: খনি এলাকায় কয়লা মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। পাণ্ডবেশ্বরে আক্রান্ত খোদ ইসিএলের এজিএম অরবিন্দ কুমার সিং। তাঁর গাড়িতেও ভাঙচুর চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পাণ্ডবেশ্বর থানায়। দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা।
[কল্যাণী স্টেশনের কাছে রেললাইনে ফাটল, স্থানীয়দের তৎপরতায় রক্ষা পেলেন যাত্রীরা]
দুর্গাপুর, আসানসোল-সহ পশ্চিম বর্ধমানের কোলিয়ারি এলাকায় খনন কাজ চালায় কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ইসিএল। তবে কয়লা মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যও কম নয়। রাতের অন্ধকারে ইসিএলের খনি থেকে কয়লা লুট করে দুষ্কৃতীরা। সব জেনেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় না বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, গোপনসূত্রে কয়লা চুরির খবর পেয়ে সোমবার রাতে পাণ্ডবেশ্বরের শোনবাজারি কোলিয়াড়ির ডালুরবাঁধে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ইসিএলের এজিএম অরবিন্দ কুমার। তখন ওই খনি থেকে কয়লা লুট করছিল ৫০ থেকে ৬০ জন দুষ্কৃতী। এজিএমের গাড়িটিকে ঘিরে ফেলে তারা। গাড়ি থেকে নামিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার ওই শীর্ষ আধিকারিকদের বেধড়ক মারধর করে কয়লা মাফিয়ারা। ভাঙচুর চলে ইসিএলের গাড়িতেও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ইসিএলের জেনারেল ম্যানেজার আর কে শ্রীবাস্তব। রক্তাক্ত অবস্থায় এজিএমকে উদ্ধার করা নিয়ে যাওয়া হয় ইসিএলের হাসপাতালে। এদিকে ততক্ষণে চম্পট দিয়েছে হামলাকারীরা।
জানা গিয়েছে, পাণ্ডবেশ্বরের শোনপুর বাজারি এলাকা দুটি বেসরকারি খনি থেকে কয়লা তুলে ডালুরহাটে নিয়ে আসে ইসিএল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, রাস্তাতেই ডাম্পার আটকে কয়লা লুট করে নেয় দুষ্কৃতীরা। সন্ধ্যা নামলেই অবাধে চলে লুটপাঠ। ইসিএলের শোনপুর বাজারির জেনারেল ম্যানেজার আর কে শ্রীবাস্তব জানান,‘‘ কয়লা চুরি রুখতেই খোলা মুখ খনিতে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন এজিএম৷ রাস্তায় তাকে আটকে মারধর করে কয়লা চোরের দল৷ তার গাড়িও ভাঙচুর চালানো হয়৷ পুলিশকে অভিযোগও করা হয়েছে৷ ইসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে৷” এদিকে এই ঘটনার সিআইএসএফের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা।
[ কর্মবিরতিতে অচলাবস্থা হলদিয়া বন্দরে, ১০ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা]
The post পাণ্ডবেশ্বরে কয়লা মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, আক্রান্ত খোদ ইসিএলের বড়কর্তা appeared first on Sangbad Pratidin.
