রাজা দাস, বালুরঘাট: কলেজ থেকে বেসরকারি বিএড কলেজের প্রাক্তন করণিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। মৃতের নাম গোপাল চক্রবর্তী। অবসরের পরে তাঁকে ফের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য কলেজে নিয়োগ করা হয়েছিল। ওই বিএড কলেজের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর তাঁকে মানসিক অত্যাচার করেছেন বলে পরিবারের অভিযোগ। ওই ব্যক্তির মানিব্যাগ থেকে একটি সুইসাইড নোট মিলেছে বলে খবর। মৃতের পরিবারের তরফে বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বালুরঘাট (Balurghat) শহরের কাছে মঙ্গলপুর এলাকায় ওই বেসরকারি বিএড কলেজ রয়েছে। গোপাল চক্রবর্তীর বাড়ি বালুরঘাট শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের যোগমায়া অরবিন্দ ক্লাবের পাশে। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তির গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ কলেজের ছাদ থেকে উদ্ধার হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হতে উত্তেজনা ছড়ায় কলেজ চত্বরে। খবর পেয়ে ডিএসপি হেড কোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ-সহ বালুরঘাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল বিএড কলেজের ওই করণিক কলেজ থেকে অবসর নেন। তবে তাঁকে ওই কলেজেই পুনর্নিয়োগ করা হয়। তিনি গতকাল কলেজে গিয়েছিলেন। অন্যান্যদের সঙ্গে কথাও বলেন। পরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ওই বিএড কলেজে একটি আর্থিক তছরুপে নাম জড়িয়েছিল ওই ব্যক্তির। সেজন্য কলেজের তরফে তাঁকে দ্রুত হিসেব নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছিল বলে খবর। পরিবারের তরফে অভিযোগ, এক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর তাঁর উপর মানসিক চাপ তৈরি করছিলেন। সেজন্য তিনি এক মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন। এরপর তিনি সুইসাইড নোটে ওই ব্যক্তির নাম লিখে চরম সিদ্ধান্ত নেন। সুইসাইড নোটে ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন। তিনি কোনও আর্থিক তছরুপে জড়িত নন, সেই কথাও লিখেছেন বলে খবর।
এই বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেনি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আর্থিক তছরুপের বিষয় নিয়ে কোনও কথাও বলতে চায়নি।
