সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী এবং গুজরাট থেকে গুয়াহাটি, জয় শ্রী রাম ও ভারত মাতা কি জয় বলতে হবে। নাহলে ইতিহাসে চলে যেতে হবে। শনিবার মিনাখাঁয় দাঁড়িয়ে এই ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘সারা দেশে বিজেপির ১১ কোটি সদস্য। বেশিরভাগ জায়গাতেই বিজেপি সদস্যরা নিরামিষ খান। কিন্তু বাংলার বিজেপি সদস্যরা নিরামিষ খান না, ঘাসও খান না। তৃণমূল সদস্যরা অভ্যাস বদলে ফেলুন, নাহলে আমরা বদলে দেব।’ বিজেপির রাজ্য সভাপতির এমন মন্তব্যের পর ঝড় উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে।
দিলীপের এমন হুঁশিয়ারিকে মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না শাসকদলের শীর্ষ নেতারা। দিলীপের এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘উন্মাদের বক্তব্য। অনেককে শোধরানো যায়, কিন্তু এইধরনের নেতাকে শোধরানো যায় না। আমার অবাক লাগে এদের মুখে এমন কথা শুনে। উনি ভুলে গিয়েছেন ভারতের জনসংখ্যা কত। ১১ কোটি কর্মীর ভয় দেখাচ্ছেন।’ এরপরই বিজেপির বিরুদ্ধে আরও কটাক্ষের সুর চড়িয়ে পার্থর বক্তব্য, ‘এই আস্ফালন, প্ররোচনার রাজনীতি সফল হবে না। ধর্মকে অধর্মের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে এই বিজেপি।’ তিনি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘দিলীপবাবু কচ্ছপের মতো হাত-পা ছুড়ছেন। ইতিহাস-ভুগোল এরা জানে না, দেশকে কলঙ্কিত করছে।’
এদিন মিনাখাঁর মালঞ্চ বাজারে একটি প্রতিবাদ সভায় এসে এমন মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, ‘কেস দিয়ে, চমকিয়ে আমাদের আটকে রাখা যাবে না। আমরা মরতেও পারি, মারতেও পারি। ঘুমন্ত বাঘকে জাগাবেন না। একবার আটকে দেখুন।’ বিজেপি দাঙ্গা করে না বলে দাবি করেন তিনি।
The post ‘জয় শ্রী রাম-ভারত মাতা কি জয় বলতে হবে, নাহলে ইতিহাসে চলে যেতে হবে’ appeared first on Sangbad Pratidin.
