সুমন করাতি, হুগলি: দুর্গাপুজো (Durga Puja) হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব হলে কী? বাংলার প্রতিটি প্রান্তে মাটির স্পর্শ, গন্ধ, রূপ, রস মিলিয়ে এ পুজো হয়ে উঠেছে সর্বজনীন, বিশ্বজনীন। তাই তো শক্তিরূপিণী, শান্তিরূপিণী দশভুজার আরাধনায় শামিল হন সব ধর্মের মানুষজনই। আর সেদিক থেকে হুগলির (Hooghly) সিঙ্গুরের রতনপুর ব্যতিক্রমী পুজোর আয়োজন করে প্রশংসা কুড়োল। হিন্দুদের সঙ্গে হাত হাত লাগিয়ে দুর্গাপুজোর আয়োজন করলেন মুসলিম বাসিন্দারাও। এবারই প্রথম এমন এক সম্প্রীতির পুজোয় মাতল রতনপুর। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্নার হাত ধরে উদ্বোধন হয়ে গেল পুজোর।
হুগলি জেলার সিঙ্গুর (Singur) থানার অন্তর্গত সিঙ্গুর ২ নং রতনপুর পঞ্চায়েতের রতনপুর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই মুসলিম। একান্নবর্তী পরিবারের মতোই সকলে থাকেন এখানে। সেটাই বিশেষত্ব। হিন্দু-মুসলিম (Hindu-Muslim)নির্বিশেষে গ্রামের সকলেই বহু দিন ধরে দুর্গাপুজোর কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। নানারকম বাধা ছিল। এবার সেসব বাধা কাটিয়ে এ বছরই প্রথম সকলে মিলে দুর্গাপুজোর আয়োজন করলেন। হিন্দু, মুসলিম একান্নবর্তী পরিবারের সম্প্রীতির বার্তা দিলেন এই পুজোর মধ্যে দিয়ে।
[আরও পড়ুন: পুজো প্যান্ডেলে যাবেন? ‘অটোচালক’ হয়ে হাজির প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়]
রতনপুর গ্রামে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েকশো মানুষের বাস। বহুদিন ধরে তাঁরা চেষ্টা করে আসছিলেন দুর্গাপুজোর আয়োজন করবেন।কিন্ত কোন এক অজানা কারনে এখানে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এবার উদ্যোগী হন নব নির্বাচিত পঞ্চায়েতের সদস্য শেখ আরমান রহমান। তিনিই পুজোর সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছেন। সিঙ্গুর বিধানসভার বিধায়ক বেচারাম মান্না (Becharam Manna)ও গ্রামের হিন্দু-মুসলিম বাসিন্দাদের একত্রে বৈঠক করে এবার প্রথম বৎসর দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়। পুজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্না। একান্নবর্তী থিমের মধ্যে দিয়ে তাঁরা সম্প্রীতির (Harmony) বার্তা পৌঁছে দিলেন সকলের কাছে।
