shono
Advertisement

‘মদ্যপ’ রেলচালকের ‘কীর্তি’তে ৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে হাওড়া-জয়নগর আপ ট্রেন, ক্ষুব্ধ যাত্রীরা

নতুন চালক না এলে ট্রেনে উঠতে অস্বীকার করেন যাত্রীরা।
Posted: 09:47 PM Aug 08, 2023Updated: 09:47 PM Aug 08, 2023

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: মদ্যপ রেলচালকের ‘কীর্তি’তে অন্তত ৪০ মিনিট মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে রইল ট্রেন। নিরুপায় অবস্থায় বসে রইলেন যাত্রীরা। পরে নতুন চালক এসে ট্রেনটিকে হাওড়ার দিকে নিয়ে যায়।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সন্ধেয় রামপুরহাট স্টেশন এলাকার কাছাকাছি। পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র স্বীকার করে নেন যে ট্রেনটি গন্তব্যে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে বিলম্বিত গতিতেই চলছিল। তবে যাত্রীরা সকলে সুরক্ষিত আছেন।

[আরও পড়ুন: বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যেই সুখবর, ১৬০০ কোটি বরাদ্দ আসতে পারে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরে]

মদ্যপ রেলচালকের কাণ্ডে বিরক্ত যাত্রীরা জানান, হাওড়া-জয়নগর আপ ট্রেনটি এদিন সন্ধে ছ’টা নাগাদ আচমকা দাঁড়িয়ে পড়ে। রামপুরহাট স্টেশনে ঢোকার আগে মার্শাল ইয়ার্ডে ঝাঁকুনি দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেনটি। স্বাভাবিক ভাবেই এমন ঘটনায় হকচকিয়ে যান যাত্রীরা। কেউ কেউ রামপুরহাট স্টেশন ম্যানেজার কৃষ্ণকুমারকে বিষয়টি জানান। ট্রেন থেকে নেমে গিয়ে তাঁরা দেখেন, চালক অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন। তাঁর আচরণ অস্বাভাবিক ঠেকছিল তাঁদের। যাত্রীদের অভিযোগ, চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তাঁরা নতুন চালক না এলে ট্রেনে উঠতেও অস্বীকার করেন। কারণ এই অবস্থায় ট্রেন চালালে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

এহেন পরিস্থিতিতে প্রায় ৪০ মিনিট পরে নতুন চালক এসে আপ রেলগাড়িটিকে গন্তব্যের দিকে নিয়ে যায়। রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, রেল কিছু সময় বিলম্ব করেছে। তবে কেন দেরি হল, তার তদন্ত করছে রেল। একইসঙ্গে চালককে রামপুরহাট স্টেশনে নামিয়ে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষাও করা হচ্ছে। সেখানেই তাঁকে থাকতে বলা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘ভারত তো হিন্দু রাষ্ট্র হয়েই গিয়েছে, এই নিয়ে বিতর্কের কী আছে?’, বিস্ফোরক কমল নাথ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement