গোবিন্দ রায়: প্রতি বছর ভাইফোঁটাতে (BhaiPhota) দিদি-বোনদের হাতে ফোঁটা পেয়ে এসেছেন বসিরহাট সংশোধনাগারে আবাসিকরা। পরিবারের কেউ আসতেন না। বরং কখনও মহিলা পুলিশকর্মীরা তো কখনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মহিলারা ফোঁটা দিতেন বন্দীদের। কিন্তু এবার ছেদ পড়ল সেই রীতিতে। দিনি-বোনেদের হাতে ফোঁটা পেলেন না বসিরহাট (Basirhat) সংশোধনাগারের বাসিন্দারা।
এবার একদিকে করোনা পরিস্থিতি। তো অন্যদিকে নিরাপত্তার ইস্যু। সংশোধনাগারে সংক্রমণ ঠেকাতে বাইরের কাউকে বন্দীদের সংস্পর্শে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। আবার গত মাসে সংশোধনাগারে পাঁচিল টপকে তিন বন্দী পালিয়েছিল। তার জেরে আঁটোসাঁটো করা হয়েছে সংশোধনাগারের নিরাপত্তা। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। তাই এবার বাইরের কারোর সংশোধনাগারে প্রবেশের উপর জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ফলে এবছর ভাইফোঁটা থেকে বঞ্চিত হল তারা।
[আরও পড়ুন: ‘প্রথা ভাঙলাম’, স্বনির্ভরতায় ভিন্ন পথ বেছে গর্বিত হাবড়ার ‘এমএ ইংলিশ চায়েওয়ালি’]
অন্যবছর এই বিশেষ দিনটিতে বোনেরা বাইরে থেকে এসে ভাইদের ফোঁটা দিয়ে যান। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণ এড়াতে যেটা গতবছর থেকেই বন্ধ আছে বলে জানান বসিরহাট সংশোধনাগারের জেলার অমিত ভট্টাচার্য। সুপার জানান, এবছর ফোঁটা দিতে চেয়েও তাঁর কাছে কোনও আবেদন জমা পড়েনি।
অন্যদিকে, এক অন্যরকম ভাইফোঁটার সাক্ষি থাকল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার। এবার ফোঁটা দিতে আসেনি দিদি-বোনেরা। তাই সংশোধনাগারের আবাসিকরা নিজেরাই পরস্পরকে ফোঁটা দিলেন। করলেন আলিঙ্গন। হল মিষ্টিমুখও। উঠল উলুধ্বনিও। শনিবার এমন ভাবেই ভাইফোঁটা পালন হল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছিল কারা কর্তৃপক্ষ।
জেল সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী জানান, “আবাসিকরা নিজেরাই আমাদের বলেছিল, তারা এভাবেই এই ভাইফোঁটা পালন করতে চায়। বিশ্বভাতৃত্বের পারস্পরিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে চায়। প্রায় ২২০০ আবাসিকদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ আবাসিক এদিনের এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।”