রাজা দাস, বালুরঘাট: রাজ্য সরকারের প্রকল্পের ঘর বা টাকা মেলেনি। যা মিলল, তা হল একটি শংসাপত্র। সরকারিভাবে নাম উঠেছে ঘর প্রাপকদের তালিকায়। ঘটনায় হতবাক দক্ষিণ দিনাজপুরের সুহরি গ্রামের বাসিন্দা শংকরচন্দ্র বিশ্বাস। অভিযোগ, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে জানিয়েও কার্যত কোনও ফল মেলেনি। কী করবেন ভেবে দিশেহারা শংকরবাবু।
[ প্রার্থীতালিকায় নাম থাকবে তো? ভোটের আগে জ্যোতিষীই ভরসা নেতাদের]
দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সুহরি গ্রামের বাসিন্দা শংকরচন্দ্র বিশ্বাস। জানা গিয়েছে, হঠাৎই তাঁকে স্থানীয় হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েতে ডেকে পাঠানো হয়। এরপর তাঁর সামনেই একটি তালিকা বের করা হয়। সেই তালিকায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত গীতাঞ্জলি আবাস যোজনায় ঘর প্রাপকদের নাম রয়েছে। দেখা যায়, অদ্ভুতভাবে ওই তালিকায় নাম উঠেছে শঙ্করচন্দ্র বিশ্বাসের। যদিও জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের ওই প্রকল্পের কোনও ঘর পাননি তিনি। সেই বিষয়টি তিনি বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেন পঞ্চায়েত প্রধানকে। কিন্তু পঞ্চায়েতের সদস্যরা কার্যত তাঁর কোনও কথা শুনতেই রাজি হননি। এরপর হতবাক ওই ব্যক্তি আর কিছু করতে না পেরে শংসাপত্রটি নিয়ে বাড়ি চলে যান।
[ কাটল জট, শ্রমিকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে দরজা খুলছে দেবপাড়া চা বাগানের ]
শংকরচন্দ্র বিশ্বাসের দাবি, শংসাপত্র হাতে পাওয়ার পর ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্ট চেক করেছেন তিনি। কোনও টাকাই ঢোকেনি তাঁর অ্যাকাউন্টে। এমনকী পরিবার নিয়ে এখনও কাঁচা বাড়িতেই বাস করছেন তিনি। জানা গিয়েছে, বাড়ি পাওয়া তো দূর, গীতাঞ্জলি আবাস প্রকল্পে নিজের নামই নথিভুক্ত করাননি ওই ব্যক্তি। তা সত্ত্বেও হাতে এসেছে শংসাপত্র। কিন্তু কেন এই ঘটনা? নাম নথিভুক্ত না করেই কীভাবে তার নামে শংসাপত্র আসতে পারে? কেনই বা শংকরবাবুর কোনও কথাই মানতে চাইলে না পঞ্চায়েত সদস্যরা? উঠছে প্রশ্ন। তবে পঞ্চায়েত স্তরে গোটা ঘটনাটি জানিয়ে কাজ না হওয়ায় অবশেষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হওয়ায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
The post আবাস যোজনায় নাম নথিভুক্ত নেই, অথচ মিলল শংসাপত্র! হতবাক ব্যক্তি appeared first on Sangbad Pratidin.
