সুমন করাতি, হুগলি: পুলিশ হয়তো ডাকতে পারে, গ্রেপ্তারির আগে বাবার কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুতে ধৃত মনোতোষ ঘোষ। গ্রেপ্তারও হয়েছে সে। তবে ছেলের উপর আস্থা রয়েছে বাবা-মায়ের। সে কোনও অপরাধ করতে পারে না বলেই মনে করেন তাঁরা।
হুগলির আরামবাগের সার্কাস মাঠের বাসিন্দা মনোতোষ। তার বাবা হোটেল ব্যবসায়ী। এলাকায় ছোট্ট খাবারের দোকান আছে তাঁর। আয় সামান্য। অভাব নিত্যসঙ্গী। তবে ছেলের পড়াশোনার খরচ কাটছাঁট করার কথা কখনও ভাবেননি। কষ্ট করে মেধাবী সন্তান মনোতোষের পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন। এলাকার স্কুলে পড়াশোনার পর উচ্চশিক্ষার আশায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি হয় মনোতোষ। বাবা-মায়ের সঙ্গে রোজই ফোনে কথা হত তার।
[আরও পড়ুন: ‘প্রকৃত দোষীকে আড়াল করতে গ্রেপ্তার’, বিস্ফোরক যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুতে ধৃত দীপশেখরের বাবা]
মনোতোষের বাবার দাবি, পুলিশ যে ডাকতে পারে তা আগেই জানিয়েছিল ছেলে। ভয় না পাওয়ার কথাও বলেছিল। মনোতোষের বাবা জানান, “ছেলে আমার স্বচ্ছ। এমন কাজ করতে পারে না। আমাকে ব়্যাগিং নিয়ে কিছু বলেনি। আমার ছেলে নির্দোষ।” মায়ের সঙ্গেও রোজই কথা হত মনোতোষের। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও বিষয়ে সেভাবে আলোচনা হত না তাঁদের। এসব কীভাবে হল কিছুই বুঝতে পারছেন না তিনি।
