শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: পুরসভার বিভিন্ন কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ বিধায়ক। সেই নিয়ে জঙ্গিপুর পুরসভায় একাধিক বিতর্কও চলে। শেষপর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হল পুরবোর্ড। অপসারিত করা হল জঙ্গিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলামকে। আপাতত পুরসভার দায়িত্ব সামলাবেন জঙ্গিপুরের মহকুমা শাসক সুধীর কুমার রেড্ডি। আজ, শুক্রবার তিনি দায়িত্বভার গ্রহণও করেছেন।
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুরসভা (Jangipur Municipality) সূত্রে খবর, বিধায়ক ও পুরপ্রধানের মধ্যে বিবাদ চলছিল। সেই জেরে নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছিল। অভিযোগ, মাস কয়েক ধরে জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন ও পুর চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলামের মধ্যে মতানৈক্য ক্রমশ প্রকাশ্যে আসে। পুরসভার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ও দলীয় সমন্বয় নিয়ে ব্যবধানে বাড়ে। বিধায়ক ও পুর চেয়ারম্যানের মধ্যে মতবিরোধ মেটাতে বেশ কয়েকবার দলীয় স্তরে হস্তক্ষেপ করা হলেও কোনও সমাধানের পথ মেলেনি! বিধায়ক অনুগামীরা বিরোধী কাউন্সিলরদের নিয়ে পুর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থাপত্র মহকুমা শাসককে জমা দিলেও রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে তা কার্যকারী হয়নি বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি রাজ্য নগর উন্নয়ন দপ্তরের সচিবের চিঠি পুর চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলামের উদ্দেশ্যে আসে। জানতে চাওয়া হয়, যে নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে, সেজন্য কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। কেন পুরবোর্ড ভেঙে দেওয়া হবে না? সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছিল। সেই চিঠির জবাব লিখিত আকারে পুর চেয়ারম্যান পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বক্তব্যে সন্তুষ্ট হওয়া যায়নি বলে খবর। শেষপর্যন্ত জঙ্গিপুর পুরবোর্ড ভেঙে দেওয়া হল। এই বিষয়ে সদ্য প্রাক্তন হওয়া মফিজুল ইসলাম কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এপ্রসঙ্গে বিধায়ক জাকির হোসেন বলেন,"অপশাসন চলছিল। এবার পুরসভায় শাসন ফিরে আসবে। দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছিল পুরসভা। বিষয়টি উপরমহলকে জানিয়েছিলাম। কথার গুরুত্ব দিয়ে পুরবোর্ড ভেঙে দেওয়ায় আমি খুশি।"
