সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দুর্ঘটনা। একই দিনে পথের বলি দুই। আহত ১০। ফালাকাটায় বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। গাড়ির ধাক্কায় মৃত নদিয়ার তেহট্টের বাসিন্দা এক বধূ। অন্যদিকে, উলুবেড়িয়ার শিবপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস উলটে বিপত্তি।
বুধবার সকালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে ফালাকাটার ময়রাডাঙ্গা গপ্পু মেমোরিয়াল হাইস্কুলে যাচ্ছিলেন ২ পড়ুয়া। তাদের মধ্যে একজনের নাম রাজীব দাস। ফালাকাটার দেওগাও হাইস্কুলের পড়ুয়া ২ কিশোর। বাইকে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার সময় ঝার বেলতলি এলাকায় উলটো দিক থেকে আসা একটি বাইকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাইকটির। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা রাজীবকে মৃত বলে ঘোষণা করে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে অপর বাইক আরোহীকে।
একইদিনে, নদিয়ায় পথের বলি এক মহিলা। মৃতার নাম সিটু বিশ্বাস। নদিয়ার তেহট্টের বাঘডোবার বাসিন্দা ওই বধূ বুধবার সকালে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কের মানিকনগর এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় করিমপুরগামী একটি গাড়ি সিটু বিশ্বাসকে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় তেহট্ট থানার নাজিরপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। ঘাতক গাড়িটিকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উলুবেড়িয়ার বীরশিবপুরে বাস উলটে বিপত্তি। বুধবার ভোরে ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতার দিকে আসছিল যাত্রীবাহী বাসটি। স্থানীয়দের কথায়, একটি ডাম্পারের সঙ্গে রেষারেষি করছিল বাসটি। রেষারেষির জেরেই বীরশিবপুরের কাছে উলটে যায় বাস। আহত হন প্রায় ১০ জন যাত্রী। তড়িঘড়ি উদ্ধার কাজে হাত লাগান স্থানীয়রা। পুলিশ ও স্থানীয়দের তৎপরতায় উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আহতদের। ঘটনার জেরে দীর্ঘক্ষণ ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাহত হয় যান চলাচল। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। ক্রমাগত সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভের প্রচার চালাচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন এড়ানো যাচ্ছেনা দুর্ঘটনা। উঠছে প্রশ্ন।
