টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: আড়ে বহরে বাড়ছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। এবছর মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এই বাণিজ্য সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপতিরা। এনিয়ে ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে। চলছে বাস্তবায়নের কাজ। সম্মেলনের মাসখানেক আগে একথা জানিয়েছেন বাঁকুড়া শিল্পকেন্দ্রের আধিকারিক সমীর কুমার পণ্ডা।
আগামী ৭ এবং ৮ ফেব্রুয়ারি রাজারহাটের কনভেনশন সেন্টারে বসতে চলেছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। গত কয়েক বছর ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানের এই সম্মেলন হয়ে আসছে। আরও প্রশস্ত হয়েছে রাজ্যে বিনিয়োগের পথ। এই মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বারবার বার্তা দিয়েছেন, ‘বেঙ্গল মিনস বিজনেস` অর্থাৎ ‘বাংলা মানেই বাণিজ্য`। এই সম্মেলনের সুবিধা রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে দিতে এবছর নতুন কয়েকটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এবারের সম্মেলনে অংশ নেবেন রাজ্যের প্রতিটি জেলার উদ্যোপতিরা। বাঁকুড়ার শিল্পকেন্দ্রের আধিকারিক সমীর কুমার পণ্ডার কথায়, দু’দিনের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলার উদ্যোগপতিদের মূলত তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমটি ‘গোল্ডেন’, দ্বিতীয়টি ‘সিলভার’ এবং সর্বশেষ ‘ব্লু`বিভাগ। জানা গিয়েছে, সম্মেলন চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী সহ দেশবিদেশ থেকে আগত বাণিজ্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে একেবারে সামনের সারিতে বসবেন গোল্ডেন বিভাগের সদস্যরা। জেলাশাসক উমাশংকর এস জানিয়েছেন, বাঁকুড়ায় এই তিনটি বিভাগে মোট পঞ্চাশজন শিল্পপতি উপস্থিত থাকবেন এবারের বাণিজ্য সম্মেলনে। রাজ্যের ভারী শিল্প দপ্তরের তরফে ইতিমধ্যেই শিল্পপতিদের ওই তালিকা তৈরির নির্দেশ পৌঁছেছে জেলাগুলিতে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং কুটির শিল্পের উন্নতির ক্ষেত্রে সংগ্রামের কথা এই আন্তর্জাতিক শিল্পমঞ্চে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর এমন নির্দেশ বলে মনে করছে শিল্পমহল। তাতে বাংলায় বিনিয়োগে শিল্পপতিদের আগ্রহ আরও বাড়বে বলে আশা সকলের।
[ ঝক্কি কমাতে নতুন শিক্ষাবর্ষে কলেজে ভরতি অনলাইনে, সিদ্ধান্ত শিক্ষামন্ত্রীর]
সম্প্রতি বাঁকুড়ায় ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের উদ্যোগপতিদের লাইসেন্স পাওয়ার রাস্তা সহজ করতে একটি বিশেষ ইলেকট্রনিক্স ট্র্যাকিং সিস্টেম তৈরি করেছে জেলা প্রশাসন। এতে দুর্নীতি রোধ হবে বলেও দাবি তাদের। এসবের পর বাঁকুড়া জেলায় ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং কুটির শিল্পের হাল কিছুটা ফিরেছে। এবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা শুনে আরও উৎসাহী শিল্পপতিরা। তাঁদের আশা, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারের সম্মেলন থেকে আরও বেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব আসবে রাজ্যে। পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোয় নজর পড়বে জেলাগুলির দিকেও। বাংলার শিল্পক্ষেত্রে শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে।
