শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে ফের মৃত্যু এক পরিযায়ী শ্রমিকের। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় মুর্শিদাবাদের ওই পরিযায়ী শ্রমিকের। ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক পরিযায়ী শ্রমিক। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের ওয়ানেড জেলার সুলতানবাথেরি গুটেনপাট্টায়। আজ সোমবার সেই খবর গ্রামে পৌঁছাতেই পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের নাম কামরুজ্জামান শেখ ওরফে মিঠুন। বাড়ি জঙ্গিপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ছোটকালিয়া ডালুপাড়া। ঘটনায় অপর জখম ব্যক্তির নাম হুমায়ন শেখ। বাড়ি ছোটকালিয়া ডালুপাড়া।
জঙ্গিপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ছোটকালিয়া ডালুপাড়ার বাসিন্দা নইমুদ্দিন শেখ। শেখ দম্পত্তির সন্তান কামরুজ্জামান শেখ দিন সাতেক আগে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কেরলে কাজে যান। ওয়ানেড জেলার সুলতানবাথেরি পুরসভার গুডেনপাট্টায় একটি বহুতলে রাজমিস্ত্রী হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন।
জানা যায়, রবিবার রাতে কামরুজ্জামান ও সঙ্গী হুমায়ন শেখ বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় লরির ধাক্কায় গুরুতর জখম হন দু'জন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। দ্রুত কামরুজ্জামান শেখ এবং হুমায়ন শেখকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কামরুজ্জামান শেখকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পথ দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্র বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন স্ত্রী সাবিনা বিবি। দুই শিশু কন্যাকে নিয়ে কীভাবে চলবেন, কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না।
অন্যদিকে মৃত কামরুজ্জামান শেখের ভাই জসিম শেখ বলেন, সোমবার সকালে আমাদের কেরলের পুলিশ ফোন করে দাদার মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। পুলিশ মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপে দাদার ছবি পাঠিয়েছিল। আমরা দাদাকে শনাক্ত করি। দুর্ঘটনায় দাদার সঙ্গে বাইকে ছিল স্থানীয় যুবক হুমায়ন শেখ। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানতে পেরেছি।'' জসিম শেখ জানান, ''সে রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে গাড়ির ধাক্কায় দাদার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে ওখানকার হাসপাতালে দাদার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। সেখান থেকে মৃতদেহ গ্রামে নিয়ে আসা হচ্ছে।''
এদিকে কেরলে কাজে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় গ্রামের ছেলে কামরুজ্জামানের মৃত্যুর খবরে যখন গোটা গ্রাম শোকগ্রস্ত। ঠিক তখন সে রাজ্যের হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে হুমায়ন শেখ। তাঁকে নিয়েও উদ্বিগ্ন পরিবার।
