shono
Advertisement

Breaking News

কলকাতা থেকে হুগলি, গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ আছড়ে পড়ল পাড়ায়

মৃত রতন কর্মকারের বাড়ি আদিসপ্তগ্রামের রায়পাড়ায়৷ The post কলকাতা থেকে হুগলি, গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ আছড়ে পড়ল পাড়ায় appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 08:00 PM Jun 06, 2019Updated: 02:57 PM Jun 07, 2019

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: গণপিটুনিতে আরও একজনের মৃত্যুর ঘটনায় আবারও কালো দাগ লেগেছে কলকাতার গায়ে৷ চোর সন্দেহে ক্লাবের ভিতর ঢুকিয়ে বেদম প্রহারে প্রাণ গিয়েছে বছর পঞ্চাশের রতন কর্মকারের৷ আর এই ঘটনায় ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে কলকাতা থেকে হুগলিতে৷ ক্ষোভে ফুঁসছেন হুগলির আদিসপ্তগ্রামের রায়পাড়ার বাসিন্দারা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফসল খেয়েছে মোষের দল, যুবককে গাছে বেঁধে ‘শাস্তি’ কৃষকদের!]

বুধবার সকালে মানিকতলা থানার এলাকার হরি সাহা হাটে চুরির অপবাদে ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারতে মারতে স্থানীয় একটি ক্লাবঘরে ঢুকিয়ে নৃশংসভাবে  খুন করা হয়। মৃত ব্যক্তির পরিচয় তখনও অজ্ঞাত ছিল। কিন্তু কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ওই মৃত ব্যক্তির ছবি দেখার পর আদিসপ্তগ্রামের রায়পাড়ার বাসিন্দারা শনাক্ত করেন, গণপিটুনিতে মৃত ব্যক্তি তাঁদেরই প্রতিবেশী বছর পঞ্চাশের রতন কর্মকার। এরপরই তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা৷ দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা।

রায়পাড়ার বাসিন্দারা জানান, তাঁরা সংবাদমাধ্যমে ছবি দেখে রতনবাবুকে চিনতে পারেন। তাঁরাই বলছেন, দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে রতনবাবু ওই পাড়ায় থাকতেন নিহত রতন কর্মকার। বিভিন্ন দোকান ও হাটে কাপড় বিক্রি করতেন তিনি। প্রথমে বাড়ি ভাড়া করে থাকলেও বছর পনের আগে রায়পাড়াতেই জমি কিনে টালির চালের বাড়ি করে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে থাকা শুরু করেন। সুখেরই সংসার ছিল। বড় মেয়ে বিয়ের পর দিল্লিতে চলে গিয়েছেন। ছোট মেয়ে স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই থাকেন। ১৯ দিন আগে রতনবাবুর স্ত্রী’র মৃত্যু হয়৷ তারপর থেকেই মানসিকভাবে একটু বিপর্যস্ত ছিলেন রতন৷

[আরও পড়ুন: মানবিকতার নজির, সিভিক ভলান্টিয়ারদের সহযোগিতায় হাসপাতালে ঠাঁই ভবঘুরের]

বুধবার সন্ধ্যায় টিভি চ্যানেলে খবর দেখে প্রতিবেশীরা জানতে পারেন, রতনবাবু চরম নৃশংসতার শিকার হয়েছেন। দেখা সত্ত্বেও তাঁরা যেন নিজেদের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, রতনবাবু আর নেই৷ প্রতিবেশীদের কাছে রতনবাবু অত্যন্ত ভাল মানুষ ছিলেন। পাড়ার সকলের সঙ্গেই সুসম্পর্ক ছিল। তাঁর যে এমন পরিণতি হবে, তা তাঁরা ভাবতেই পারছেন না প্রতিবেশীরা। তাঁরা সকলেই দাবি করেছেন, যারা এই মৃত্যুর জন্য দায়ী, তাদের যেন কঠোর শাস্তি হয়।

ঘটনার দিন ভোর ৪টে ১৫ নাগাদ এলাকারই মাছ ব্যবসায়ী শ্যামল দাস নিজের টোটো করে রতনবাবুকে চুঁচুড়া লঞ্চঘাটে ছেড়ে দেন। সেখান থেকে নদী পেরিয়ে নৈহাটি স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেন ধরে রতনবাবু উল্টোডাঙায় যান। রাতে বাড়ি ফিরে রতন কর্মকারের মৃত্যুর খবর শুনে রীতিমতো বিস্মিত হয়ে যায় শ্যামল। এদিকে টিভির খবর দেখে সকালেই মৃতের ছোট মেয়ে ও জামাই কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। তবে গণপিটুনিতে মৃত ওই ব্যক্তিই রতন কর্মকার কি না, সে বিষয়ে মগরা থানার পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়৷

The post কলকাতা থেকে হুগলি, গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ আছড়ে পড়ল পাড়ায় appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement