রাজা দাস, বালুরঘাট: নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর বচসা-সালিশি সভা। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বংশীহারির বাগদুয়ার। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে লাঠিচার্জ করল পুলিশ। পালটা ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতে। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে এলাকা।
বহুদিন ধরেই বংশীহারির টাঙন নদীতে সুতির জাল ফেলে বেআইনিভাবে মাছ ধরত দুই গোষ্ঠী। জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে মাছ নিয়েই বচসায় জড়িয়ে পড়ে তারা। সাময়িকভাবে অশান্তি মিটে গেলেও ক্ষোভ ছিলই। সোমবার এক গোষ্ঠীর সদস্যরা অপর দলের আশ্রফ আলি নামে এক যুবককে ধরে নিয়ে হাজির হয় সালিশি সভায়। সেখানে কথাবার্তা চলছিল। সেই সময় হঠাৎ বংশীহারি থানার পুলিশদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় আশ্রফের ছেলে।
[আরও পড়ুন: কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের মুখে, জীবনপণ লড়াই করে মৎস্যজীবীর প্রাণ বাঁচালেন সঙ্গী]
অভিযোগ, পুলিশ আধিকারিকরা সেখানে গিয়ে কারও কোনও কথাই শোনেননি। স্থানীয়দের উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হয়। এরপরই পালটা পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় স্থানীয়রা। আহত হন ১৪ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ ও গ্রামবাসী। ঘটনার পরই আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। তবে এদিনের ঘটনায় এখনও থমথমে এলাকা। নতুন করে এলাকায় যাতে উত্তেজনা না ছড়ায় সেই কারণে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ পিকেট।