দেবব্রত দাস, খাতড়া: বিজেপি (BJP) সাংসদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জেলা সভাপতিকে পদ থেকে সরানোর দাবি। বাঁকুড়ায় বিজেপি কার্যালয়-সহ একাধিক জায়গায় পোস্টারে ছয়লাপ। দাবি একটাই, দুর্নীতিগ্রস্ত সাংসদের মনোনীত বাঁকুড়া (Bankura) জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডলের পদত্যাগ। বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় বিজেপি কার্যালয়ের সামনে বড় করে দেওয়া পোস্টারটি সকালে চোখে পড়ে দলের কর্মী, সমর্থকদের। এই কাজ তৃণমূলের বলেই দাবি করেন পোস্টারের কেন্দ্রে থাকা সুনীলরুদ্র মণ্ডল। আর তৃণমূলের পালটা কটাক্ষ, বিজেপির মধ্যে অনেক দ্বন্দ্ব রয়েছে, এসব তারই প্রতিফলন। তবে এই পোস্টার নিয়ে সকাল থেকে এলাকার গেরুয়া শিবিরে চাঞ্চল্য।
বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি এই মুহূর্তে সুনীলরুদ্র মণ্ডল। অনেকের দাবি, তিনি বাঁকুড়ার সাংসদ (MP) ডা. সুভাষ সরকারের ঘনিষ্ঠ। সাংসদের বিরুদ্ধেই বারবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাই তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি জেলা সভাপতি পদে থাকায় তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। এদিন সকালে তালড্যাংরার (Taldangra)বিজেপি অফিসের দেওয়ালেই বড় একটি পোস্টার দেখা যায়। তাতে লেখা – ‘দুর্নীতিগ্রস্ত সাংসদের মনোনীত বাঁকুড়া জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডলের অবিলম্বে পদত্যাগ চাই।’ নিচে দেওয়া রয়েছে পরিচয়ও। তাতেই বোঝা গেল, পোস্টার দিয়েছেন তালড্যাংরা মণ্ডল বিজেপির কার্যকর্তাবৃন্দ। অর্থাৎ এটা যে গেরুয়া শিবিরেরই অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রতিফলন, তা স্পষ্ট।
[আরও পড়ুন: আসানসোলে ও বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী কারা? জল্পনায় একাধিক নাম]
যদিও যাঁর বিরুদ্ধে এই পোস্টার, সেই বিজেপি জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডলের অভিযোগ, ”এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক চক্রান্ত। আমাদের দলের নামে কুৎসা করা হচ্ছে। তৃণমূল এখানে তেমন দাগ কাটতে না পেরে এসব কুৎসা রটাচ্ছে।” উলটোদিকে, জেলা তৃণমূল (TMC)সভাপতি অরূপ চক্রবর্তীর মন্তব্য, ”ওদের মধ্যে নানা দ্বন্দ্ব রয়েছে। তারই প্রতিফলন এই পোস্টার। বোঝাই যাচ্ছে, কারা দিয়েছে এই পোস্টার।” বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলায় গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্বের বিষয়টি আগেও একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে। এখানকার ৫ বিধায়ক বিদ্রোহী বিধায়ক দলের হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) গ্রুপ ত্যাগ করেছিলেন। তার জল গড়ায় দিল্লিতেও। এবার নিজেদের অসন্তোষ ফের সামনে এল আরও এক ঘটনায়।