সুব্রত বিশ্বাস ও মনিরুল ইসলাম: রবিরার হাওড়া-খড়গপুর লাইনের দেউলটি স্টেশনে রেল অবরোধ। অবরোধে বসেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আন্ডারপাস তৈরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এর ফলে আটকে পড়ছে ৮টি এক্সপ্রেস-সহ চারটি লোকাল ট্রেন। রূপসী বাংলা এক্সপ্রেসে আটকে বহু পরীক্ষার্থী। চরম ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা।
স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দেউলটি এবং কোলাঘাট স্টেশনের মাঝে নাচক এলাকায় নটা থেকে অবরোধে বসেন স্থানীয়রা। এই এলাকায় রেল লাইন পারাপার করেই যাতায়াত করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সম্প্রতি, সেই রাস্তা বন্ধ করে দেয় রেল। ফলে এলাকার বাসিন্দারের অনেকটা ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সমস্যায় পড়েন নাকচ, জলপাই এবং ওড়ফুলি এলাকার বাসিন্দারা। রবিবার সেখানে লোহার বেড়া দেওয়ার কাজ করছিল রেল কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদে ও আন্ডারপাসের দাবিতে লাইনের উপর বসে পড়েন বাসিন্দা।
যার জেরে ব্যাহত হয় রেল পরিষেবা। দাঁড়িয়ে যায় করমণ্ডল, ধৌলি, গীতাঞ্জলি-সহ একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন। আটকে পড়ে চারটি লোকালও। অবরোধের জেরে বিপাকে কয়েকশো পরীক্ষার্থী। রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে বাঁকুড়া যাওয়ার জন্য উঠেছিলেন দক্ষিণবঙ্গের বহু পরীক্ষার্থী। এদিন বাঁকুড়া ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের গ্রুপ সি, ডি-সহ নানা পদের পরীক্ষা রয়েছে। দুপুর দুটো থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। পরীক্ষার্থীরা এখনও অবরোধের জেরে আটকে রয়েছে বাগনানে স্টেশনে। তাঁদের অভিযোগ, হাওড়া থেকে সকাল সাড়ে ছটায় রূপসী বাংলা এক্সপ্রেসের ছাড়ার কথা ছিল। তার বদলে তা সাড়ে নটায় সাঁতরাগাছি থেকে ছাড়ে। পরেবাগনান স্টেশনে এসে অবরোধের জেলে তাঁরা আটকে পড়ে। আদৌও তাঁরা পরীক্ষা দিতে যেতে পারবে তো? সেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নাজেহাল দশা হয় সাধারণ যাত্রীদেরও।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রেল কর্তৃপক্ষ ও রেল পুলিশে আধিকারিকরা। বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তোলেন তাঁরা। পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, "ওই এলাকায় আন্ডারপাস তৈরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।"
