শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: প্রাথমিক স্কুলে ক্লাস চলাকালীন আচমকাই ভেঙে পড়ল ছাদের চাঙড়। আর তাতে গুরুতর জখম (Injured) অন্তত ১৪ জন পড়ুয়া। এদের মধ্যে ৫ জন ছাত্রী। মাথা ফেটে কয়েকজন ভরতি হাসপাতালে। ঘটনার জেরে তুমুল চাঞ্চল্য উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) করণদিঘির লাহুতারা কামাদ প্রাথমিক স্কুলে। খবর পেয়ে অভিভাবকরা ছুটে আসেন। সকলেই চিন্তিত। পাশাপাশি তাঁরা স্কুল কর্তৃপক্ষকেই এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করছেন।
শুক্রবার দুপুর নাগাদ লাহুতারা কামাদ প্রাথমিক স্কুলে চলছিল ক্লাস। আচমকাই ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়ে। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির মোট ১৪ জন পড়ুয়া আহত হন। মাথা ফেটে গিয়েছে কয়েকজনের। এদিন স্কুলে আসেননি প্রধান শিক্ষক মতিয়া মণ্ডল। সেই কারণে আহতদের হাসপাতালে ভরতি করাতে সমস্যা হয়। তবে স্থানীয় বাসিন্দারাই ছুটে যান দুর্ঘটনাস্থলে। তাঁরাই খুদে পড়ুয়াদের উদ্ধার করে করণদিঘি ব্লক হাসপাতালে ভরতি করেন। সেখান থেকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Raiganj Medical College Hospital) স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ধূপগুড়ি উপনির্বাচন: মমতা, অভিষেক-সহ ৩৭ জন তারকা! ভোটে জিততে প্রচারে ঝাঁপাচ্ছে TMC]
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে অভিভাবকরা ছুটে যান স্কুলে। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলবাড়ি মেরামতির জন্য অনেক আগেই বলা হয়েছিল প্রধান শিক্ষককে। কিন্তু তিনি দাবি কানে তোলেননি। স্কুল মেরামত করা হলে আজ এই দুর্ঘটনা ঘটত না। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মতিয়া মণ্ডল বলেন, ”আমার বিশেষ কাজ ছিল। তাই স্কুলে যেতে পারিনি আজ। কিন্তু যা ঘটেছে, সব শুনেছি। রায়গঞ্জে হাসপাতালে আমি যাচ্ছি। সকলের যাতে ঠিকমতো চিকিৎসা হয়, তা দেখব।”