দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে বৈরিতা। আরাবুল ইসলাম বনাম শওকত মোল্লার বাদানুবাদে উত্তপ্ত হচ্ছে ভাঙড়ের রাজনীতির আঙিনা। মন্তব্য -পালটা মন্তব্যে সরগরম হচ্ছে এলাকা। তারই মাঝে আরাবুলকে নিশানা করতে গিয়ে কাটমানি নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন শওকত মোল্লা।
বৃহস্পতিবার দিনভর খোলা আকাশের নিচে বসে ‘অফিস’ করেন আরাবুল ইসলাম। বিজয়গঞ্জ বাজারে পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে দিনভর এই নাটকের পর সন্ধ্যায় ওই বাজারে আসেন শওকত মোল্লা। তিনি তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে একটি কর্মিসভা করেন। এবং সেই সভায় আরাবুলের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আরাবুল পঞ্চায়েত সমিতি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তছরুপ করেছেন। শওকত মোল্লার অবশ্য দাবি করেন, তিনি কাটমানির টাকায় গরিবদের কম্বল বিতরণ করছেন। তার পালটা বলতে গিয়ে আরাবুল বলেন, "শওকত যে কম্বল, গেঞ্জি, ছাতা বিতরণ করেন সেখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিজের পকেটে ঢোকান। শওকতের স্ত্রী, শ্যালক, ভাই সকলের নামে একাধিক কনট্রাক্টরির লাইসেন্স আছে। কনট্রাক্টরি করলে দলের পদে থাকা যায় না, এটা দলনেত্রীর নির্দেশ।"
বৃহস্পতিবার বিজয়গঞ্জ বাজারের সভায় শওকত যে বক্তব্য রাখেন সেটা ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে। তাতে শওকতকে বলতে শোনা যায়, ‘‘একটা সময় পঞ্চায়েত সমিতিকে কনট্রাক্টররা যে পয়সা দিত সেটা কোনও এক ব্যক্তি একা নিয়ে চলে যেতেন। এখন আর তা হয় না। এখন যদি কনট্রাক্টরদের কাছ থেকে পাঁচ পয়সা কমিশন পাওয়া যায় সেটা দিয়ে আমরা গরিব মানুষকে কিছু না কিছু কিনে দিই। আমরা এই যে ৫ হাজার কম্বল দিচ্ছি সেটা ২৫ থেকে ২৭ লক্ষ টাকার। এজন্য আমরা নেতাদের থেকেও পয়সা নিচ্ছি।’’
শওকতের পালটা আরাবুল আবার বলেন, ‘‘ভদ্রলোক যে কথা বলছেন, ওঁর লজ্জা থাকা দরকার। ওঁর স্ত্রী, শ্যালক, ভাই, সবাই কনট্রাক্টর। উনি রাস্তার কাজের নাম করে কোটি কোটি টাকা ঘরে তুলছেন। উনি গত বর্ষায় আমার কাছ থেকে দশ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন ছাতা কিনে বিতরণ করা হবে বলে। পঞ্চাশ টাকার ছাতা কিনে দুশো টাকা বিল করা হয়েছে। গেঞ্জি কেনার জন্য এক প্রোমোটারের থেকে ৮০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল। যদি ১০ লক্ষ টাকার কম্বল কেনেন তবে ৯ লক্ষ পকেটে ঢোকাবেন।’’