ধীমান রায় ও কল্যাণ চন্দ্র: ফের বোমার আঘাতে আহত শৈশব। মুর্শিদাবাদ জেলার সালারে সিপিএম- তৃণমূল সংঘর্ষে বোমার আঘাতে মারাত্মক জখম হয় এক স্কুল পড়ুয়া। শনিবার সকালে এই ঘটনায় ওই স্কুল পড়ুয়ার দুই পা-সহ শরীরের একাধিক অংশ ঝলসে গিয়েছে। তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, জখম পড়ুয়ারা নাম আল্লারাখা শেখ (১২)৷ ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সে। অভিযোগ, পাড়ার একটি দোকানে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমায় জখম হয় আল্লারাখা। পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে প্রথমে সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর সেখান থেকে তাকে কাটোয়া নিয়ে আসা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কলকাতা লিগে মোহনবাগানের জয়ের ধারা অব্যাহত, ড্র করেও শীর্ষে ডায়মন্ড হারবার]
জানা যায়, শনিবার সকাল থেকে ওই এলাকায় একটি জায়গাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষর মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত। তার জেরেই গ্রামে এদিন বোমাবাজি শুরু হয়। ঠিক সে সময় আল্লারাখা শেখ নামে ওই পড়ুয়া পাড়ার একটি দোকানে যাচ্ছিল। তখনই তার সামনেই বোমা পড়ে। আর বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয় সে। জখম শিশুর দিদি পানু বেগমের অভিযোগ,”ভোটের পর থেকেই আমাদের গ্রামে তৃণমূলের লোকজন অত্যাচার চালাচ্ছে। রাস্তা দিয়ে গেলেই বোম, ইঁট যা পাচ্ছে তাই ছুঁড়ছে। আমার ভাইয়ের দিকেও বোমা ছোঁড়ে। আমরা এর বিচার চাই।”
[আরও পড়ুন: বন্দি মুক্তি নিয়েও রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত! নবান্নের তালিকা ফেরত পাঠাল রাজভবন]
পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই শাসকদলের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেই চলেছে। মুর্শিদাবাদ জেলার সালার থানা এলাকা ভোটের পর থেকে এমনিতেই উত্তপ্ত। গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য ইদ মহম্মদ ওরফে বুলেট CPIM -এর টিকিটে জয়ী হওয়ার পর তৃণমূলে যোগ দেয়। তার পর থেকেই ওই গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ফারুক সেখের সাথে গন্ডগোল বাঁধে। এদিন সকাল থেকেই গ্রামে বোমাবাজি হয়। বিকেলের দিকে দু’পক্ষ গ্রামে মুড়ি মুড়কির মত বোমাবাজি করে।
