নন্দন দত্ত, সিউড়ি: মায়ের মৃত্যুশোকে আত্মঘাতী ছেলে! শনিবার বীরভূমের মল্লারপুর থানার বীরচন্দ্রপুর গ্রামের ঘটনায় স্তম্ভিত সকলে। মা ও ছেলের এহেন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকায়। মায়ের মৃত্যুশোক সামলাতে না পেরেই ছেলের আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন সকলে।
জানা গিয়েছে, শংকরী লেট নামে বছর পঞ্চান্নর মহিলা শুক্রবার পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন। শংকরী তারাপীঠ থেকে অটোয় চেপে রামপুরহাটের দিকে আসছিলেন। অন্যদিকে, রামপুরহাট থেকে একটি ছোট চারচাকা গাড়ি তারাপীঠের দিকে তীব্র গতিতে যাচ্ছিল। শুক্রবার বিকালে বেলিয়া মোড়ের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চার চাকাটি অটোর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শংকরী দেবী-সহ পাঁচ মহিলা সেই দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়। তাঁদের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করা হয়। শনিবার সকালে শংকরীর মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: যাদবপুরে ‘সেনা পোশাক’ বিতর্ক: অভিযুক্ত সংস্থার কর্ণধারকে গ্রেপ্তারির নির্দেশ কলকাতা পুলিশের]
মায়ের মৃত্যু যন্ত্রণা মেনে নিতে পারেনি বছর চল্লিশের ছেলে মিলন। গ্রামবাসীরা জানান, শনিবার দুপুরে মিলনকে নিয়ে তাঁর মায়ের মৃতদেহ আনতে বেরন প্রতিবেশীরা। তাঁদের পুকুর পাড়ে বসিয়ে শৌচের নামে মিলন মাঠের একটু দূরে যায়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ তাঁকে আসতে না দেখে খোঁজ শুরু হয়। দেখা যায়, মাঠের শেষ প্রান্তে একটি গাছের সঙ্গে শ্মশানে যাওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া গামছা দিয়ে গাছে ঝুলছেন (Hanging body) মিলন। অবিবাহিত মিলন মায়ের মৃত্যুর পর কিভাবে জীবন কাটাবে, সে নিয়ে শুক্রবার থেকেই চিন্তিত ছিলেন। শেষমেশ তিনি নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার পথেই হাঁটলেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
