নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ‘‘চড়-থাপ্পড় মেরে এ যাত্রায় তৃণমূলকে ছেড়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত৷’’ শনিবার বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র লাগোয়া মাঠে সিপিএমের একটি জনসভা মঞ্চ থেকে পঞ্চায়েতের রায় প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করলেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী৷ পঞ্চায়েত মামলায় রায় ঘোষণার পর বীরভূমের নানুর ও সদাইপুরে বোমাবাজি, খুনোখুনি নিয়ে কটাক্ষও করেন তিনি৷ এদিন সুজনবাবু দাবি করেন, এটাই বীরভূমের প্রকৃত বিজয় উৎসব৷ গুলি-বোমা ছুঁড়ে অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা বিজয় উল্লাস করছে৷
[এবার অনলাইনে বুকিং করা যাবে ‘তন্তুজ’ শাড়ি, তাঁতিদের জন্য বিশেষ শিবির]
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরোতেই সিপিএমের জেলা সম্পাদক তথা বামফ্রন্টের নেতা মনসা হাঁসদা বলেছিলেন, ‘‘রায়কে মাথা পেতে নিয়ে আমরা গণতন্ত্র বাঁচাতে আন্দোলনে নামবো।’’ পরের দিনই সুজন চক্রবর্তী মন্তব্য, ‘‘বীরভূমেই সবচেয়ে বেশি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা। এ রাজ্যে গণতন্ত্রের নামে প্রহসন চলছে৷’’ সুজনের অভিযোগ, “দেশের শীর্ষ আদালত ছাড়া আমাদের কোথাও যাওয়ার নেই। সুপ্রিম কোর্ট শাসক দলকে চড়-থাপ্পড় মেরে এ যাত্রায় ছেড়ে দিয়েছে৷’’ তাঁর আরও দাবি, মনোনয়ন করতে না দেওয়া ও প্রার্থীদের ভয় দেখানো নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠেছে বীরভূমে৷
[প্রেমের প্রস্তাব খারিজ হতেই ছাত্রীর গলার হার ছিনিয়ে চম্পট যুবকের]
বোর্ড গঠন প্রসঙ্গে সুজনবাবু বলেন, “বীরভূমে লুঠের রাজ শুরু হয়েছে। এতে গণতন্ত্র লুণ্ঠিত হবে। একদিন মানুষ বুঝতে পারবে গণতন্ত্রকে কীভাবে লুঠ করা হচ্ছে। তাতে ক্ষতি হবে উন্নয়নের৷” অভিযোগ, যে জেলায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি পুলিশকে বোমা মারতে বলেন, সেখানেই অনুব্রত মণ্ডলের ব্যাজ বুকে লাগিয়ে অনুষ্ঠানে যাচ্ছে। এর জন্য পুলিশ মন্ত্রীকে তিনি দায়ী করেন৷ বীরভূম জেলার একশ্রেণির পুলিশকে তিনি ‘নপুংসক’ ও ‘কাপুরুষ’ বলে কটাক্ষ করেন বাম বিধায়ক৷ তবে, রাজ্যজুড়ে বিজেপির রামনবমী ও তার পালটা হিসাবে তৃণমূলের রামনবমী পালন রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করছে বলে জানান সুজনবাবু৷
The post ‘চড়-থাপ্পড় মেরে এ যাত্রায় তৃণমূলকে ছেড়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট’ appeared first on Sangbad Pratidin.
