রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো বিধায়ক হাসপাতালে। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত নদিয়ার তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা। ভর্তি কলকাতার বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, বিধায়কের ব্রেন ডেথ হয়েছে।
২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন তাপস সাহা। ২০২১ সালে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র পরিবর্তন করে দল। তেহট্ট থেকে নির্বাচিত হন তাপস। এরপর শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ায় তাঁর। বাড়িতে সিবিআইও হানা দেয়। তল্লাশি হয়, কণ্ঠস্বরও সংগ্রহ করে তদন্তকারীরা। এর মাঝেই বুধবার নিজের বাড়িতে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলেন তিনি।
ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত নদিয়ার তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা। নিজস্ব চিত্র
প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন তাপস। পরিবার সূত্রে খবর, এদিন অনেকটা বেলা হয়ে গেলেও নিজের ঘর থেকে বের হননি তিনি। পরিবারের অন্যরা ঘরে ডাকতে গিয়ে দেখেন বিছানায় অচেতন অবস্থা পড়ে রয়েছেন ষাটোর্ধ্ব বিধায়ক। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় তাঁকে অত্যাধুনিক অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসা চলছে তাঁর। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ব্রেন ডেথ হয়েছে তৃণমূল বিধায়কের।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। গত বছরই উঠে এসেছিল তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার নাম। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে নদিয়ার তেহট্টের (Tehatta) কড়ুগাছি এলাকায় বিধায়কের বাড়ি, অফিস ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে টানা ১৫ ঘণ্টা করে তল্লাশি চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। প্রচুর নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে। তাতে একাধিক দপ্তরে নিয়োগ দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করে সিবিআই। তাঁর আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালের বাড়ি থেকেও বেশ কিছু জরুরি নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরবর্তীতে তাপস সাহাকে তলবও করা হয়। এবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি।
