রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: মাঝরাতে আচমকাই বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড। কোনওমতে পালিয়ে বেঁচেছেন বাড়ির মালিক। কিন্তু, তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান আর বাড়ি থেকে বেরোতে পারেননি। অগ্নিদগ্ধ মৃত্যু হয়েছে তিনজনেরই। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের হাসিমারায়।
[আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু মালদহের রতুয়ায়, ক্ষোভে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা স্থানীয়দের]
হাসিমারা শহরের এম ই এস চৌপথি এলাকায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন দিলীপ বর্মন। ওই দম্পতির মেয়ের বয়স ১১ বছর, আর ছেলের বয়স মোটে দু’বছর। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমবার রাত এগারোটা নাগাদ আচমকাই বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বেরোতে দেখেন তাঁরা। তখন বাড়িতেই ছিলেন দিলীপবাবু, তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে। খাওয়া-দাওয়ার সেরে ঘুমোচ্ছিলেন তাঁরা। প্রতিবেশীদের চিৎকার কোনওমতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন দিলীপ বর্মন। কিন্তু ছেলে-মেয়ে নিয়ে আর বাড়ি থেকে বেরোতে পারেননি তাঁর স্ত্রী। স্থানীয়দের দাবি, ওই তিনজনকে বের করে আনার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু ততক্ষণে আগুন এতটাই ভয়াবহ আকার নিয়েছিলেন যে, দিলীপবাবুর স্ত্রী ও সন্তানদের বের করে আনা যায়নি।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে প্রথমে হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। পরে হ্যামিল্টনগঞ্জ থেকে আসে দমকলের আরও একটি ইঞ্জিন। ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় আগুন নিভিয়েও ফেলেন দমকলকর্মীরা। কিন্তু, দিলীপ বর্মনের স্ত্রী ও সন্তানদের বাঁচানো যায়নি। আগুন নেভানোর পর ওই বাড়ি থেকে তিনজনের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার শোকের ছায়া নেমেছে হাসিমারা এম ই এস চৌপথি এলাকায়।
কিন্তু ওই বাড়িতে আগুন লাগল কী করে? তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক তদন্তে দমকলের অনুমান, রাতে রান্না গ্যাসের সিলিন্ডার থেকেই সম্ভবত আগুন লেগে গিয়েছিল বাড়িতে। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাতে দিলীপ বর্মনের বাড়িতে বিস্ফোরণের শব্দ পাননি। তাহলে কি গ্যাসের সিলিন্ডার লিক করে আগুন লাগল? তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: সচেতন করবে কন্যাশ্রীরা, ডেঙ্গু মোকাবিলায় রাজ্যে স্বাস্থ্য দপ্তর বরাদ্দ করল ৪ কোটি]
The post মাঝরাতে বাড়িতে আগুন, পুড়ে মৃত্যু একই পরিবারের তিনজনের appeared first on Sangbad Pratidin.
