নবেন্দু ঘোষ, বসিরহাট: তৃণমূল পরিচালিত বসিরহাটের পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে উন্নয়ন না করার অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনল তৃণমূল কংগ্রেসের ১২ জন কাউন্সিলর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বসিরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে।
[আরও পড়ুন: এবিভিপি-টিএমসিপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মধ্যমগ্রামের এপিসি কলেজ, সাময়িক বন্ধ যান চলাচল]
২৩ টি আসন বিশিষ্ট বসিরহাট পুরসভায় তৃণমূলের কাউন্সিলর ১৬ জন। মহকুমা শাসক এবং পুরসভার রিসিভ সেন্টারে উপ পুরপ্রধান সুদেব সাহা–সহ মোট ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর সই করে অনাস্থাপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে যখন উন্নয়ন হচ্ছে, তখন পুরপ্রধানের একগুঁয়ে মনোভাবের জন্য বসিরহাট পুর এলাকায় উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল কাউন্সিলদের একাংশের দাবি, নতুন পুরপ্রধান এনে যদি উন্নয়নে কাজ না করা হয়, সেক্ষেত্রে পুরভোটে বসিরহাটে খারাপ ফল হবে দলের। বসিরহাটের পুরপ্রধান তপন সরকার বলেন, “দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেব।”
২০১৫ সালে পুনর্নির্বাচনে বসিরহাট পুরসভায় তৃণমূল ১৩, কংগ্রেস ৫, বিজেপি ৩ এবং সিপিএম দু’টি আসনে জয়লাভ করে। পরে কংগ্রেসের অসিত মজুমদার, অবিনাশ নাথ এবং বিজেপির সোনা নন্দী তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে তৃণমূলে কাউন্সিলর সংখ্যা বেড়ে হয় ১৬। তবে সমর্থন করলেও, অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেননি চারজন কাউন্সিলর। ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পরিমল মজুমদার বলেন, “দলনেত্রীর আদর্শকে সামনে রেখে আমরা দল করি। তিনি যখন বাংলা জুড়ে উন্নয়ন করে চলেছেন সেইসময় পুরপ্রধানের কারণে বসিরহাট পুরসভার উন্নয়ন পিছিয়ে আছে। গত তিন বছর ধরে মেরামতের নাম করে টাউন হল এবং রবীন্দ্রভবন বন্ধ রাখায় সংস্কৃতিপ্রেমী বসিরহাটের মানুষ অনুষ্ঠান করার ক্ষেত্রে বড় রকম অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন।পুরপ্রধানের অবহেলার কারণে বসিরহাটের উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে রয়েছে।” পরিমলবাবুর আরও দাবি, ‘উন্নয়ন না করতে পারলে মানুষ আমাদের ভোট দেবেন না। তাই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা।’
[ আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে পণ্ড হতে পারে পুজো, কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস]
The post বসিরহাট পুরসভায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা তৃণমূল কাউন্সিলরদের appeared first on Sangbad Pratidin.
