shono
Advertisement

সাধারণতন্ত্র দিবসে পতাকা উত্তোলনেও তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’, আসানসোলে প্রবল উত্তেজনা

অশান্তির জেরে বন্ধ হয়ে যায় অনুষ্ঠান।
Posted: 02:01 PM Jan 26, 2024Updated: 07:11 PM Jan 26, 2024

শেখর চন্দ্র, আসানসোল: সাধারণতন্ত্র দিবসে পতাকা উত্তোলন এবং কম্বল বিলিকে কেন্দ্র করে আসানসোলের ফতেপুরে প্রবল উত্তেজনা। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদে শেষমেশ বন্ধ হয়ে যায় অনুষ্ঠান। বন্ধ হয়ে যায় পতাকা উত্তোলনও।

Advertisement

আসানসোল দক্ষিণের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ফতেপুর গ্রাম। এই গ্রামের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নাম সমিত মাজি। তিনি তৃণমূলের কাউন্সিলর। গোটা গ্রামটি তৃণমূলের দখলে। আবার গ্রামে রয়েছে ষোলআনা কমিটি। সেই কমিটিও তৃণমূলের সমর্থক। আবার গ্রামের কয়েকজন রয়েছেন সেন পরিবারের সদস্য। তাঁরাই দুর্গামন্দিরের কাছে আলাদা করে পতাকা উত্তোলন ও কম্বল বিলির অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ করা হয় পাশের অর্থাৎ ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জয় নুনিয়ার বাবা রোহিত নুনিয়াকে। আর এই রোহিত নুনিয়াকে নিয়েই যত আপত্তি ফতেপুর গ্রামবাসীর একটা বড় অংশের। রোহিত নাকি প্রভাবশালী নেতা এই রোহিত নুনিয়ার বিরুদ্ধে বারবার ফতেপুরের গ্রামবাসীরা বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করেছেন। অভিযোগ, রোহিত পাশের ওয়ার্ডের হয়ে অন্য ওয়ার্ডে নাক গলাচ্ছেন। প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন। অতীতেও দেখা গিয়েছে, রোহিত মুনিয়া এই ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের নানা সমস্যা নিয়ে কর্পোরেশন ঘেরাও করেছে। আর এই নিয়ে লাগাতার সংঘাত চলছে দুটি ওয়ার্ডের নেতৃত্বের মধ্যে। যার প্রভাব পড়ল পতাকা উত্তোলনেও।

[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদের নিচে ছিল মন্দির! রিপোর্টে জানাল ASI]

উত্তেজনার খবরের আঁচ আগেই পেয়েছিল পুলিশ। তাই এই অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু রোহিত দলবল নিয়ে সকালে ঢুকে পড়ে গ্রামে। আর তখনই উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে আসানসোল দক্ষিণ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। গ্রামের ষোলোআনা কমিটির অভিযোগ স্থানীয় কাউন্সিলরকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে রোহিত নুনিয়াকে কেন আমন্ত্রণ করা হল? সেই নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। পরে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে যে জায়গায় অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল সেখান থেকে পতাকা স্তম্ভ তুলে নিয়ে যাওয়া হয় সেন পরিবারের বারান্দায়। সেখানে পতাকা উত্তোলন করেন রোহিত নুনিয়া। কম্বল বিলি হয় গ্রামের বাইরে।

অন্যদিকে, গ্রামের ষোলআনা কমিটিও পতাকা উত্তোলন করেন তাদের ক্লাবের সামনে। কিন্তু পতাকা উত্তোলনের সময় দেখা যায় এক পক্ষ রোহিত নুনিয়া ‘জিন্দাবাদ’ বলছেন। আরেক পক্ষ বলছেন রোহিত নুনিয়া ‘মুর্দাবাদ’। অর্থাৎ এদিন প্রজাতন্ত্র দিবস এবং ভীমরাও আম্বেদকরের সংবিধানকে ছাপিয়ে রোহিত নুনিয়া কেন্দ্রিক হয়ে ওঠে গোটা অনুষ্ঠান। যারা রোহিত নুনিয়াকে আমন্ত্রণ করেছিলেন গ্রামের ষোলআনা কমিটিকে না জানিয়ে, তাদের দাবি এই গ্রামের বর্তমান কাউন্সিলর ওই সেন পরিবার বা ওই এলাকার কোনও উন্নয়ন করেন না। তিনি একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সমর্থন করেন এবং উন্নয়ন করেন। তার জন্যই তারা পাশের ওয়ার্ডের ওই নেতাকে ডেকেছিলেন।

[আরও পড়ুন: পদ্মশ্রী পাচ্ছেন বাংলার ২ শিল্পী, প্রথম মহিলা মাহুত পার্বতী বড়ুয়া]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup #IPL18 toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার