জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: রাম মন্দিরের ভিতপুজোয় পবিত্র জল পাঠানো হয়েছিল বনগাঁর ঠাকুর নগরের ঠাকুর পরিবারের তরফে। সেই জল অযোধ্যায় পৌঁছে দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Santanu Thakur)। কিন্তু তাঁর পাঠানো জল মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি তুলে শান্তনু ঠাকুরকে একহাত নিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmick)। ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচির প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বনগাঁয় গিয়ে এমনই বললেন পার্থ ভৌমিক। তাঁর মন্তব্য, ”শান্তনু ঠাকুরের ন্যূনতম সম্মান বোধ থাকলে বিজেপি করতেন না।” তবে মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পালটা তাঁকে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে বলে তোপ দাগলেন শান্তনু ঠাকুরের ভাই, ঠাকুর পরিবারের আরেক সদস্য তথা গাইঘাটার বিজেপি (BJP) বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর।

‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ (কর্মসূচি নিয়ে চলতি সপ্তাহেই উত্তর ২৪ পরগনা সফরে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বনগাঁর চাঁদপাড়ায় সেই কর্মসূচির প্রস্তুতি দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। সেখান থেকেই এদিন তিনি নিশানা করেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ (BJP MP) শান্তনু ঠাকুরকে।
[আরও পড়ুন: ৭০০ ভারতীয় পড়ুয়াকে বিতাড়নের হুমকি কানাডার, পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে জয়শংকর]
তাঁর কথায়, “শান্তনু ঠাকুরদের যদি ন্যূনতম সম্মান থাকত, তাহলে তাঁরা বিজেপির দালালি করত না। সংসদ ভবন উদ্বোধনের সময় ডাকা হয়নি রাষ্ট্রপতিকে। তিনি ছোট জাতের বলেই ডাকা হয়নি। সেখানে ব্রাহ্মণরা পূজো করছিলেন। যেখানে ব্রাহ্মণরা পুজো করেন সেখানে তফসিলি জাতি ও উপজাতির প্রবেশ নিষেধ, বিজেপির নিয়ম অনুযায়ী। এর আগে রাম মন্দিরের যখন ভিতপুজো হয়েছিল, সেসময় শান্তনু ঠাকুর ঠাকুরবাড়ির জল পাঠিয়েছিলেন। সেটা ঢুকতে দেয়নি।” এই অভিযোগের পর পার্থ ভৌমিকের আরও কটাক্ষ, ”শান্তনু ঠাকুরকে এমপি থাকতে হবে, তাই নরেন্দ্র মোদির কথামতো চলতে হবে। কিন্তু যাঁরা মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ, তাঁরা কি এই অপমান মানবেন?”
[আরও পড়ুন: সমুদ্রের রাজা কে? মোদিতেই চিন বধের অস্ত্র খুঁজছে আমেরিকা!]
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে গাইঘাটা বিধানসভার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন। তাঁর পালটা প্রশ্ন, ”রাম মন্দিরে ঠাকুরবাড়ির জল গ্রহণ করা হয়নি, এটা কীভাবে জানলেন তিনি? আসলে তৃণমূলের অনেকের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। এখন যা অবস্থা, তাতে ওঁরা বুঝেছেন যে জাতপাতের বিষয়টাই এবার উসকে দিতে হবে। ওটা ছাড়া আর কিছু হবে না। সিবিআই যেভাবে একের পর এক পৌরসভাতে হানা দিচ্ছে, তাতে তৃণমূলের অনেক নেতারই মাথা খারাপ হয়েছে। আগামী দেড় মাস এরকমই ভুলভাল মন্তব্য করবেন তৃণমূলের এমন অনেক নেতা।”