অর্ণব দাস, বারাকপুর: জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়কের সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) দ্বন্দ্বে সরগরম শিল্পাঞ্চল। রবিবার তৃণমূলের প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে সাংসদের মন্তব্যের পর সোমবার ফের সাংবাদিক সম্মেলন করলেন সোমনাথ শ্যাম। সাংসদকে ‘ডিভোর্সি নেতা’ বলে কটাক্ষ করে তিনি।
বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের কথায়, “তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে উনি দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা বলছেন। তাহলে উনি বিজেপিতে গেলেন কেন? আবার ফিরেও আসলেন কেন? মামলার ভয়ে? অসমের মুখ্যমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন, ও-তো মামলার ভয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। মন, প্রাণ যে এখনও বিজেপিতেই রয়েছে সেটা ওঁর কর্মকাণ্ড দেখলেই বোঝা যাচ্ছে।” স্বাভাবিকভাবেই লোকসভা ভোটের আগে দলীয় সাংসদ বনাম বিধায়কের বাগযুদ্ধে শিল্পাঞ্চলে অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির।
[আরও পড়ুন: ভয়ংকর ইজরায়েলি ফসফরাস বোমায় ক্ষতবিক্ষত লেবানন! প্রশ্নের মুখে আমেরিকা]
প্রসঙ্গত, ভাটপাড়ায় তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম অর্জুন সিংয়ের পরিবারকে নিশানা করার পর থেকেই দলের দুই নেতার দ্বন্দ্ব ফের মাথাচারা দেয়। রবিবার এই নিয়ে দলীয় সভামঞ্চ থেকে মুখ খোলেন অর্জুন। এদিন ফের এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সোমনাথ বলেন, “আমি যে অভিযোগ করেছি, তাতে দিশেহারা হয়ে গিয়েছেন সাংসদ। ভিকি যাদব খুনে পাপ্পু সিংকে বাঁচাতে তাই আমার বিরুদ্ধে উনি ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে শুরু করেছেন।”
বিধায়কের এদিনের মন্তব্যে আমল দেননি সাংসদ অর্জুন সিং। বলেন, “সব মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সময় এলেই সবটা বুঝতে পারা যাবে।” তবে, দলেরই দুই হেভিওয়েট নেতার প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলের অন্দরে। দলের তরফে প্রকাশ্যে এনিয়ে কেউ কিছু বলতে না চাইলেও লোকসভা ভোটের আগে দুই নেতার এই দ্বন্দ্ব জেলার কোন নেতৃত্বই ভালোভাবে নিচ্ছেন না বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর।