পলাশ পাত্র, তেহট্ট: দীর্ঘ ৩৯ বছর পর বামদুর্গে জোড়া ফুল ফুটিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। উপনির্বাচনেও সেই মহুয়াই ভরসা তৃণমূলের। তাঁকে সামনে রেখেই প্রচার শুরু করেছেন রাজ্যের শাসকদলের প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহরায়। বিজেপি এখনও প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি। তাই মূল প্রতিপক্ষ এখনও ঢিলেঢালা। এই অবস্থায় বাড়তি অ্যাডভান্টেজ নিতে শুক্রবার থেকেই তেড়েফুঁড়ে প্রচার শুরু করলেন তৃণমূল প্রার্থী।
শুক্রবার করিমপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের প্রচার শুরু করল তৃণমূল। এদিন বিকেলে করিমপুর সংলগ্ন মহিষবাথান থেকে শুরু হয় তৃণমূল প্রার্থীর ব়্যালি। পাঁচ কিমি পথ পেরিয়ে তা শেষ হয় করিমপুর জামতলা মোড়ে। শাসকদলের প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহরায়ের সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন এই এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক তথা কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মূলত মহুয়ার ক্যারিশমাতেই এই কেন্দ্রে জয়ের আশায় রয়েছে তৃণমূল। মহুয়ার পাশাপাশি শাসকদলের স্থানীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন এদিনের মিছিলে। তৃণমূলের করিমপুর এক ও দুই নম্বর ব্লকের সভাপতি তরুণ ঘোষ, রাজু মল্লিক-সহ এই বিধানসভা কেন্দ্রের সমস্ত নেতাদের এদিনের র্যালিতে দেখা যায়। প্রচুর কর্মী-সমর্থক ও উৎসাহী মানুষও ছিলেন ব়্যালিতে।
[আরও পড়ুন: দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে ‘বহিরাগত’র মার সিপিএম নেতাকে, চরমে অন্তর্দ্বন্দ্ব]
করিমপুরের বালিয়াডাঙাতে তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায়ের আদি বাড়ি হওয়ায় অনেক কিছুই তার চেনা। কৃষ্ণনগরে কর্মসুত্রে থাকলেও করিমপুরে তিনি মাটি কামড়ে পড়ে থাকবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। ১৯৫৮ সালে বিমলেন্দু সিংহরায়ের জন্ম। ২০১৭ সালে শিক্ষক হিসেবে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান। এর কয়েক বছর আগে তিনি শিক্ষারত্ন পুরস্কারও পান। মুড়াগাছা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক থাকা অবস্থাতে গত বছর অবসর নেন বিমলেন্দু। এই শিক্ষক বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। তাই জিতব। এত ভাল সংগঠন আছে যেখানে জেতা ছাড়া অন্য কিছু ভাবা যাবে না।” তিনি আরও বলেন,”এলাকায় অনেক কাজ হয়েছে। মহুয়া মৈত্রর অবশিষ্ট কাজ করতে চাই।” ভোটের নিরিখে করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির থেকে চোদ্দ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। এই অবস্থায় করিমপুরের উপনির্বাচন তৃণমূল ও বিজেপির কাছে এক অগ্নিপরীক্ষা।
The post ভরসা মহুয়া মৈত্র, সাংসদকে সঙ্গে নিয়েই করিমপুরে প্রচার শুরু তৃণমূল প্রার্থীর appeared first on Sangbad Pratidin.
