নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল নিয়ে সমস্যা মিটেছে। বিতর্ক এড়াতে মোদির সভায় দলের পতাকা থাকবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু, হেলিপ্যাড থেকে সভাস্থল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর যাওয়ার রাস্তা তৈরির জন্য নির্বিচারে কাটা হচ্ছে গাছ৷ এর প্রতিবাদ জানিয়ে বনগাঁর মহকুমা শাসককে চিঠি দিলেন ঠাকুরনগরের বাসিন্দারা। এদিকে এই ঘটনায় সভা বানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন ঠাকুরবাড়ির সদস্য বিজেপি ঘনিষ্ঠ শান্তনু ঠাকুর।
[ ‘ক্ষমতা থাকলে বাংলার সরকার ফেলে দেখাক’, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ মমতার]
আগামী ২ ফ্রেরুয়ারি মতুয়া সংঘের আমন্ত্রণে বনগাঁর ঠাকুরনগরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সভার জন্য মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ির দেবত্রর সম্পত্তির অংশ শ্রীধর ময়দানকে নির্বাচিত করেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। আর তাতেই বিতর্ক দানা বাঁধে। ঠাকুরবাড়ির সদস্য ও শাসকদলের সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর দাবি করেন, যেদিন প্রধানমন্ত্রীর সভা, সেদিন শ্রীধর ময়দানে মতুয়াদের নাম সংকীর্তন হবে। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে মাঠেই হবে অনুষ্ঠান৷ ঠাকুরনগরের শ্রীধর ময়দানে সভা করা নিয়ে বিজেপিকে পালটা হুঁশিয়ারি দেয় শাসকদল। চাপে পড়ে শেষপর্যন্ত কৌশল বদলে ফেলে বঙ্গ বিজেপি। জানিয়ে দেওয়া হয়, দলের পতাকা, ফেস্টুন ছাড়াই ২ ফ্রেরুয়ারি ঠাকুরনগরে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজেদের সভায় তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মতুয়ারা।এই সভার সঙ্গে রাজনীতি বা বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।
আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা ঘিরে এখন সাজো সাজো রব ঠাকুরনগরে। জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। এখনও পর্যন্ত যা খবর, ২ ফ্রেরুয়ারি ঠাকুরনগরে সভাস্থলের কাছেই অস্থায়ী হেলিপ্যাডে নামবে প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার। হেলিপ্যাড থেকে সভাস্থল পর্যন্ত হেঁটে আসবেন মোদি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঠাকুরনগরের চিকনপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য রাস্তা তৈরি করছে প্রশাসন। নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে বড় বড় গাছ। তাতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। তাই গাছ কাটা বন্ধ করার আরজি জানিয়ে বনগাঁর মহকুমা শাসককে চিঠি দিয়েছেন ঠাকুরনগরের বাসিন্দাদের একাংশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হেলিপ্যাডের জন্য গাছ কাটার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠাকুরবাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুর। তিনি আবার বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য, মতুয়াদের ধর্মীয় সভা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। যাঁরা হেলিপ্যাডের জন্য জমি দিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের প্রয়োজনেই গাছের ডালপালা ছেঁটেছেন। কোনও বড় গাছ কাটা হয়নি। সভা বানচাল করার জন্য ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
[ কাঁথির অশান্তিতে রিপোর্ট তলব দিল্লির, ক্ষুব্ধ মমতা]
The post প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন, বিতর্ক তুঙ্গে ঠাকুরনগরে appeared first on Sangbad Pratidin.
