রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: পুরভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) গড়ে ভাঙন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন কাঁথির দুই প্রাক্তন কাউন্সিলর। কয়েকদিন আগেই একাধিক বিজেপি কর্মী দলত্যাগ করে শাসকদলে যোগ দেন। এর ফলে পুরভোটে কাঁথি পুরসভা দখলে রাখা কার্যত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে অধিকারী পরিবারের কাছে।
মঙ্গলবার পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিকের উপস্থিতিতে কাঁথির দুই প্রাক্তন কাউন্সিলর (Councillor) অতনু গিরি ও সোনা বেরা তৃণমূলের যোগ দেন। ঘাসফুল শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা। গত বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই শুভেন্দু অধিকারীর পথ ধরেই অতনু গিরি এবং সোনা বেরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। প্রত্যেকেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাঁরাই মতবদল করেন। পদ্ম শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন।
[আরও পড়ুন: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]
তৃণমূল যোগদান করা একজন কাউন্সিলর জানিয়েছেন, “গত বছর জানুয়ারি মাসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু ওই দলে কাজ করার কোনও সুযোগ নেই। বিজেপি কেবল ধর্ম নিয়ে চলছে। বিজেপিতে গেলেও মন তৃণমূলেই পড়েছিল।” দলে যোগ দিয়েই অধিকারী পরিবারকে নিশানা করেন প্রাক্তন দুই কাউন্সিলর। পদ্মশিবিরকে তোপ দেগে তাঁদের দাবি, আসন্ন কাঁথি পুরভোটে বিজেপি সম্পূর্ণ মুছে যাবে। শুভেন্দু অধিকারীর আবেগে বিজেপিতে যোগ দিলেও তিনি এতদিন সকলকে ব্যবহার করে নিজে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা বানিয়েছেন।
তৃণমূল সূত্রে খবর, বিধানসভা ভোটের আগে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের অনেকেই ফের তৃণমূলে যোগদানের জন্য আবেদন করেন। তার মধ্যে ৫ জন প্রাক্তন কাউন্সিলর ছিলেন। মঙ্গলবার ২ কাউন্সিলর যোগ দেন। বাকিরা আগামী দিনে যোগ দেবেন। বিধায়ক উত্তম বারিক বলেন, “বিজেপিতে মোহভঙ্গ অনেক আগেই হয়েছে বিজেপিতে যাওয়া কাউন্সিলরদের। তাই ফিরতে চেয়ে দলের কাছে আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যে ২ কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বাকিরা পরে যোগ দেবেন।”