স্টাফ রিপোর্টার: সময়সীমা শেষ হয়ে গেলেও এসআইআরের ফর্ম পূরণ করলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের সভায় তিনি জানিয়েও দেন সেকথা। বাংলার সব মানুষ ফর্ম পূরণ না করলে তিনি যে ফর্ম পূরণ করবেন না, সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন জননেত্রী।
বৃহস্পতিবার ভাষণ দিতে গিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী আবার বলেন, "সাধারণ মানুষ সবাই এখনও ফর্ম পূরণ করেনি। আমিও তাই করিনি।" জনসভার মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর তোপ, "আমি সাতবারের সাংসদ। দু'বারের রেলমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকেছি বারবার। তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। আমাকে আজকে প্রমাণ করতে হবে যে আমি ভারতের নাগরিক কি না? এর চেয়ে নাকে খত দেওয়া ভালো। কাদের কাছে প্রমাণ দেব, ওই দাঙ্গাবাজদের কাছে?"
দেশের নির্বাচনী আইন বলছে, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্টের বিচারপতিদের মতো কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও 'মার্কড ভোটার' হিসেবে চিহ্নিত। দেশবিখ্যাত ক্রীড়াবিদ, সমাজসেবক বা অন্য ক্ষেত্রের সম্মানীয় ব্যক্তিরাও এই তালিকায় পড়েন। এই ব্যক্তিরা ফর্ম পূরণ করে নিজেদের ম্যাপিং না করলেও খসড়া ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম উঠবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের এক শীর্ষ আধিকারিক এদিন জানিয়েছেন, "নির্বাচনী বিধির ৪-ডি ধারায় অনুযায়ী ফর্ম পূরণ না করলেও মার্কড বা ফ্ল্যাগড ভোটারদের নাম খসড়া তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। কিন্তু মূল ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতেই হবে। নথি জমা না হলে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত না হওয়ারই কথা।" এদিন বিজেপির উদ্দেশে কটাক্ষের সুরে মমতা বলেন, "ওই দাঙ্গাবাজদের কাছে প্রমাণ করতে হবে, আমি দেশের নাগরিক কি না। এত খিদে যে ভোটের দু'মাস আগে এসআইআর করছে।"
